বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক র ওপর হামলার ঘটনায় মাহিলাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল রাঢ়ীসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে যুব ও ছাত্রলীগের ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গৌরনদী থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে সৈকত গুহ পিকলু বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাসেল রাঢ়ী ও মঙ্গল সরদারকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিচারক তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রাসেল রাঢ়ী মাহিলাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, মঙ্গল সরদার যুবলীগ নেতা । পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পিকলুর বিরোধ চলছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধিকবার সংঘর্ষ এবং একাধিক মামলা দায়ের হয়। সোমবার বিকালে মাহিলাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মাহিলাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের দলীয় সদস্য পদ সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেখান থেকে রওনা দিলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল রাঢ়ী, আলিম খান, মঙ্গল সরদার এবং সজীবের নেতৃত্বে যুব ও ছাত্রলীগের ২৫/৩০ নেতাকর্মী ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর শুরু করে। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে উদ্ধার করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীদের মধ্য থেকে রাসেল রাঢ়ী ও মঙ্গল সরদারকে গ্রেফতার করে । মাহিলাড়া ইউপির চেয়ারম্যান পিকলু অভিযোগ করেন, বিএনপি ও জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে সদ্য যোগদানকারীরা আওয়ামী লীগের দলীয় সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির আলোচনা সভা বানচাল করতে এ হামলা চালায়। রাসেল রাঢ়ীর বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার রাঢ়ী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর ওপর হামলার ঘটনায় আমার ছেলে কিংবা কোনও সমর্থক জড়িত নয়। পিকলু গুহের অত্যাচার, নির্যাতন ও হয়রানিতে বিক্ষুব্ধ লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।