পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে আজ। একই সঙ্গে পূর্ণগ্রাস ও চন্দ্রগ্রহণ একটি বিরল ঘটনা। শেষবার এমনটা ঘটেছিল ১৫২ বছর আগে ১৮৬৬ সালে। প্রায় দেড়শ বছর পর বুধবার আবারও এরকম একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ববাসী।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানাচ্ছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, মধ্য ও পূর্ব এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া থেকে এ চন্দ্রগ্রহণ খুব ভালোভাবে দেখা যাবে। তাছাড়া পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্র, আলাস্কা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বাসিন্দারাও এ বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবে। জ্যোতি বৈজ্ঞানিক এই ঘটনাটি বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে।
একইদিন পূর্ণিমা ও চন্দ্রগ্রহণ হওয়ায় চাঁদ রক্তিম রং ধারণ করবে। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। ফলে ওই সময় চাঁদে লাল বা কমলা রঙের আভা দেখা যায়।
চন্দ্রগ্রহণের সময়
ঢাকার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৫টা ৩৭ মিনিটে চাঁদ দিগন্তের উপরে উঠবে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে আংশিক গ্রহণ শুরু হবে। সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিটে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের মধ্যবর্তী অংশ ৭টা ২৯শ মিনিটে সংঘটিত হবে। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিট স্থায়ী হবে। রাত ১০টা ৮ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণের উপচ্ছায়া পর্যায় শেষ হবে।
কীভাবে দেখবেন চন্দ্রগ্রহণ
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য ফেসবুকে একটি ইভেন্ট খুলেছে। এজন্য দুটি পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করেছে তারা। ক্যাম্প দুটির একটি হচ্ছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর মানমন্দির। অন্যটি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, কলাপাড়া, পটুয়াখালী।
অনুসন্ধিৎসু চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি মো. শাহজাহান মৃধা জানান, সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর হলেও চন্দ্রগ্রহণ খালি চোখে দেখা ক্ষতিকর নয়। চন্দ্রগ্রহণ দেখতে বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ আবশ্যক নয়, তবে পরিষ্কারভাবে দেখতে সেগুলোর ব্যবহার করা যেতে পারে।