রাজধানীর হাইকোর্টের সামনে ও আশপাশে সাঁজোয়া যান, জলকামান আর প্রিজন ভ্যান। গোটা অঞ্চলে অবস্থান নিয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ। আছেন পুলিশের রমনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। গতকাল বিকেলে বিএনপির কর্মীদের হামলার ঘটনায় আজ বুধবার পুলিশের এ পদক্ষেপ।
হাইকোর্টের প্রবেশমুখে একটি জলকামান, একটি সাঁজোয়া যান ও একটি প্রিজন ভ্যান রাখা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া হাইকোর্টের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পুলিশের ছোট ছোট পিকআপ ভ্যান। আশপাশের এলাকা থেকে অনেক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা পুলিশের পিকআপ ভ্যান। ছবি: প্রথম আলোশাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের এমন অবস্থানের বিষয়ে রমনা বিভাগে উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, গতকালের প্রেক্ষাপটে আজ এমনটা করা হয়েছে।
অনেক সাধারণ লোকজন পুলিশের এই ধরপাকড়ের মধ্যে পড়ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আটক হওয়া তামিমের দাবি, তিনি বোনের বাসা থেকে ফিরছিলেন। পুলিশ ডেকে নিয়ে তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তুলেছে।
গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টের মাজার গেটের সামনে পুলিশের প্রিজন ভ্যান ভেঙে দুই কর্মীকে ছিনিয়ে যান বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
হাইকোর্টের আশপাশের এলাকা থেকে অনেককে আটক করা হয়েছে। ছবি: প্রথম আলোএ সময় তাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের একজন অতিরিক্ত উপকমিশনারসহ (এডিসি) অন্তত চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের দুটি রাইফেলও এ সময় ভাঙচুর করা হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গতকাল বিকেলে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে ঢাকার জজ আদালতে হাজিরা দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। গতকালই পুলিশ ৬৯ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে জানান মারুফ হোসেন সরদার।