বগুড়া জেলার শেরপুরে গোঁরতা গ্রামে সোমবার দুপুরে একটি পুকুর খননের সময় ১০ মণ ওজনের কষ্টি পাথরের একটি নারায়ণ মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১শ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
এই ঘটনা সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে সবাই এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায় এবং হিন্দু ধর্মালম্বীরা এসে পূজা অর্চনা শুরু করে।
ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, এক সময় এলাকাটি হিন্দু জমিদারদের ছিল। যার ফলে এই ধরণের মূর্তি পাওয়া সম্ভব।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, চারশবছর আগের হিন্দু জমিদারদের পূজা অর্চনা করার জন্য এই মূতিটি তৈরি করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি একটি অমুল্য রতন। তবে আমরা নিয়ম মাফিক প্রন্ততত্ত্ব অধিদপ্তরে হস্তান্তর করব।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে আলোচনা করে জানা যায় মূর্তিটিকে কোনো মন্দিরে স্থাপন করে পূজা-অচর্না করা শ্রেয় বলে তারা মনে করেন। তারা বলেন এ বঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অবস্থান আগে অনেক সুদৃঢ় ছিল এটাই তার প্রমাণ।