বিবিএস : একটি সর্বভারতীয় পোর্টাল ফের শিরোনামে নিয়ে এলো প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখোপাধ্যায় লেখা আত্মজীবনীমূলক “দ্য কোয়ালিশন ইয়ার্স” বইটিকে। বইটি 2017-র শেষদিকে প্রকাশিত হওয়ার সময়ই প্রণববাবুর বলা কিছু না-জানা ঘটনা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলো। তারপর সব বিতর্কই হিমঘরে চলে যায়। ওই বইয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে নিয়ে প্রনববাবুর কিছু মন্তব্য সেই অক্টোবর-নভেম্বরে প্রথমবার সামনে এসেছিলো। এ সম্পর্কিত অধ্যায়টিকে আবারও সামনে এনে দিলো দিল্লির ওই বিশেষ পোর্টালটি।
স্মৃতিচারনে প্রনববাবু লিখেছেন, ক্ষমতায় থাকার সময় সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে বেশ কিছু হিন্দু-বিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো কংগ্রেস।এ ধরনের কিছু সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেছেন প্রনববাবু। তিনি লিখেছেন, “হিন্দুদের ব্যাপারে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া কিছুটা অসহিষ্ণু ছিলেন।” প্রণববাবু বলেছেন, 2004 সালের নভেম্বরে শঙ্করাচার্য জয়েন্দ্র সরস্বতীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিলো। সেসময় জয়েন্দ্র সরস্বতী র্তীর্থযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে অশ্লীল সিডি তৈরির অভিযোগও আনা হয়েছিলো। যদিও সেই অভিযোগ আজও প্রমাণিত হয়নি। প্রণব বাবু সেসময়ে নিজের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, “আমি এ ধরনের কাজের নিন্দা করেছিলাম। ক্যাবিনেট বৈঠকেই প্রশ্ন করেছিলাম, “ধর্মনিরপেক্ষতার শর্ত মানার দায় কি শুধুই হিন্দু সন্ন্যাসীদের? ঈদের সময় কোনও রাজ্যের পুলিশের কি কোনও মৌলবীকে গ্রেফতার করার সাহস হবে?” আলোচ্য বইয়ে প্রনববাবু তুলে ধরেছেন, 2004 থেকে 2014, এই দশ বছরে তৎকালীন কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী বারবার হিন্দু ভাবাবেগকে আঘাত করেছেন, তার কিছু বিবরন। বলেছেন, জয়ললিতার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক মধুর করতেই শঙ্করাচার্য্যকে ওইভাবে ফাঁসানো হয়েছিলো।
প্রনব মুখোপাধ্যায়ের “দ্য কোয়ালিশন ইয়ার্স”-এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশের বেশ কিছুদিন পর ওই পোর্টালটি কোন উদ্দেশ্যে এসব বিষয় ফের সামনে আনলো, তা নিয়ে জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।