ভোলার গ্যাস খুব শিগ্রই বরিশালে পাইপ লাইনের মাধ্যমে আনা হবে বরিশালে, যাতে এখানে শিল্প কারখানা গড়ে ওঠে। ভোলা থেকে গ্যাস শুধু শুধু আনবো না, বরিশাল থেকে ভোলায় যাতে যাওয়া যায় সেজন্য নদীর উপর সেতুও তৈরি করে দিবো।
আজ বৃহস্পতিবার (০৮ফেব্রুয়ারী) বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামীলীগ উন্নয়নে বিশ্বাসী। খালেদা জিয়া ১৫সালে নিরীহ অনেক মানুষকে হত্যা করেছেন, গাড়ীতে আগুন জ্বালিয়েছেন, আজ তিনি কোথায়? কাজেই মানুষের উপর হত্যার করলে ঐ আল্লাহর আরশও কেপে যায়।
আমরা চাই দেশের উন্নয়ন, আমরা চাই মানুষের কল্যাণ। কাজেই আওয়ামীলীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশের মানুষ ভালো থাকে। বাংলাদেশের কোন ঘরও অন্ধকারে থাকবেনা, আমরা দেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দিবো।
আপনারা জানেন একাত্তরের ১৫ই আগষ্ট আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-মা, ভাই, আমার ফুফা আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ, তার ছেলে-মেয়ে, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ছেলেকেসহ মোট ১৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে নির্মমভাবে। সেই হত্যাকারীদের বিচার না করে জিয়াউর রহমান পুরষ্কৃত করেছিল চাকুরী দিয়ে। আল্লাহর রহমতে সেই হত্যার বিচার হয়েছে।
বরিশালবাসীকে আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বরিশালবাসীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি আপনারা জঙ্গী,সন্ত্রাস, মাদক এর হাত থেকে আপনারা আপনাদের সন্তানকে রক্ষা করেন। সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে মেশে আপনারা নিজেরা নজর দিন।
আমরা বরিশালসহ এই দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। বিএনপি সরকারের থেকে অনেক অনেক বেশি উন্নয়ন হয়েছে এই বরিশালে। এ মাত্র আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশের উন্নয়ন হয়। তাই উন্নয়ন ধারা অব্যহত রাখতে আপনারা আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিন, নৌকায় ভোট দিয়ে নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করুন।
বক্তব্যের শেষে প্রধানমন্ত্রী রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দের কবিতার সাথে সূর মিলিয়ে বলেন, ইনশআল্লাহ আবার দেখা হবে, অাবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়ির তীরে, এই বরিশালে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপির সভাপতিত্বে জনসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ২ টার পর জনসভার অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জনসভায় উপস্থিত হন।
তার আগে দুপুর ১ টার মধ্যে বঙ্গবন্ধু উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। জনসভায় যোগ দিতে বেলা ১১ টা থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেন। ফলে মিছিলের নগরীতে পরিনত হয়েছে গোটা বরিশাল। লোকজন উদ্যানের আশে-পাশের রাস্তায়ও অবস্থান নিতে শুরু করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১১ টায় পটুয়াখালীর লেবুখালীতে নবনির্মিত শেখ হাসিনা সেনানিবাসের উদ্বোধন করেন।
সেখানে কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের পর ৭ পদাতিক ডিভিশনসহ ১১টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেন ও ইউনিটগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া তিনি একই স্থান থেকে ১৪টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও একটি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।