সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় সংখ্যালঘুদের জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার লক্ষ্যে চিহিৃত সন্ত্রাসীদের হামলা ও দাড়াঁলো অস্ত্রের আঘাতে নারী পুরুষসহ ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের পুরান লক্ষণশ্রী গ্রামের মৃত গুরুচরণ তালুকদারের ছেলে গোপাল চন্দ্র তালুকদার ৩৬ শতক আমন রকম ভূমি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন এবং ঘটনার দিন তারা জমিতে চারা রোপন কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
কিন্তু একই গ্রামের মৃত গ্রাবরু মিয়ার ছেলে ভূমিখেকো আব্দুস ছোবাহান তার সহোদর শাহ জামান, চাচাতো ভাই মো. আব্দুস সালাম, পারভেজ, দিললার, জাহিদুল, ময়না মিয়ার ছেলে তহুর মিয়া, লাল মিয়ার ছেলে মো. জসিম উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন ও মৃত নুর আলীর ছেলে মোঃ আকতার হোসেন দাড়াঁলো অস্ত্র রামদা, রড, লাঠিসোটা নিয়ে জমিতে ধান রোপন কাজে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ভূমিখেকো ছোবাহানসহ অন্য সন্ত্রাসীরা দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে অসহায় সংখ্যালঘু পরিবারটিকে।
এতে নারীসহ ৫ জন আহত হন। আহতরা হলেন, পুরান লক্ষণী শ্রী গ্রামের মৃত গুরুচরণ তালুকদারের ছেলে গোপাল চন্দ্র তালুকদার, তার সহধমির্ণী কাজরী রানী তালুকদার, সালিশ মৃত সৈরত মিয়ার ছেলে আব্দুল লতিফ। তাৎক্ষনিক বাকি দু’জনের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হলে গোপাল চন্দ্র তালুকদারের অবস্থা আশংঙ্কাজনক হলে তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে গ্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহীদুল্লাহ জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।