বাবা-মা প্রবাসে। এর সুবাধে মাদারীপুরের মেয়ে আঁখি আক্তার থাকেন মামার বাড়ি। আর এই সুযোগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাসায় কেউ না থাকায় মামাতো ভাই তরিকুল ইসলাম ধর্ষণ করে আঁখিকে। আঁখি পল্লবীর শহীদ জিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন।
ধর্ষণের পর এ ঘটনা সবাইকে বলে দিবে বলতেই আঁখিকে বালিশ ও কাঁথা চাপা দিয়ে হত্যা করে তরিকুল। হত্যার পর ল্যাগেজে লাশ নিয়ে রিকশায় করে পল্লবীর বাসা থেকে ইসিবি চত্বরে যায় তরিকুল। পরে সিএনজি নিয়ে পৌঁছান বিমানবন্দর চত্বরে এরপর দোকানের সামনে ব্যাগ রেখে আরেকটি ব্যাগ কেনার কথা বলে পালিয়ে যায় তরিকুল।
পরে আঁখিকে নিখোঁজ দেখে, মামা নূর ইসলাম প্রথমে জিডি করেন এবং লাশ উদ্ধারের পর মামলা করেন।
মামলার পর তরিকুলের সংশ্লিষ্টতা জানতে পেরে অভিযুক্ত তরিকুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার (২ মার্চ) রাতে মাদারীপুরের কালকিনি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তরিকুলের জড়িত থাকার প্রমাণ পায় পুলিশ। পরে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতের বিষয়টি স্বীকার করে তরিকুল।
তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তরিকুলের জড়িত থাকার প্রমাণ পায় পুলিশ। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তরিকুল।
এ ব্যাপারে ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার জানান, কলেজ ছাত্রী আঁখি আক্তার হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মামাতো ভাই তরিকুল ইসলামকে মাদারীপুরের কালকিনী গ্রেফতার করা হয়েছে। তরিকুলের স্ত্রী ও সন্তানও রয়েছে।
তিনি বলেন, জোরপূর্বক ধর্ষণের পর জানাজানির কথা বলায় তরিকুল বালিশ ও কাঁথা চেপে আঁখিকে হত্যা করেন। এরপর নিরাপদে লাশ নিয়ে ব্যাগে করে বিমানবন্দরে রেখে যায় তরিকুল। প্রান্ত