এবার সাতক্ষীরায় প্রকাশ্য দিবালোকে একটি হিন্দু বাড়ির গ্রীলে তালা লাগিয়ে দু’ গৃহবধু ও তাদের দু’সন্তানকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা। সপরিবারে গ্রাম ছাড়লেন আতঙ্কিত অশোক দাস।
আমাদের অনৈক্যর ফলেই আজ আপনি বাড়ি ছাড়া। আপনার জন্মপরিচয়ের কারণেই আজ আপনি ভিটে মাঠি ছাড়া।
প্রকাশ্য দিবালোকে বারান্দার গ্রীলে তালা লাগিয়ে ঘরের মধ্যে ঘুমন্ত দু’ নারী ও তাদের দু’ সন্তানকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় আতঙ্কিত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চুপড়িয়া গ্রামের অশোক দাস সোমবার দুপুরে সপরিবারে গ্রাম ছেড়েছেন। এখন থেকে তিনি তার শ্বশুর বাড়ি আশাশুনির শ্বেতপুর গ্রামে থাকবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
চুপড়িয়া গ্রামের অশোক দাস জানান, গত বছরের ১৩ অক্টোবর বাড়ির পাশে বাগানে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে গেলে একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা দু’জন তার স্ত্রী অঞ্জনা দাসের মুখের মধ্যে কাপড় ঢুকিয়ে দু’ হাত পিঠ মোড়া দিয়ে বেঁধে দু’ পা মেহগনি গাছের সঙ্গে বেঁধে ধর্ষনের চেষ্টা করে। পরে তার সামাজিক সম্মান নষ্ট করার জন্য মাথার চুল কেটে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় মামলা করলে পুলিশ দেলোয়ারকে গ্রেফতার করায় তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তার চার ভাই নিরাপত্তাহীনতার কারণে গ্রাম ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। একপর্যায়ে পুলিশ, আগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের আশ্বাসে তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
এরপরও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি ধামকি অব্যহত থাকে। এরই একপর্যায়ে তার বড় ভাইসন্তোষ, সুফল স্বপরিবারে গত নভেম্বর মাসে যশোরের শার্শা উপজেলার গোগাপ গ্রামের একটি ইটভাটায় কাজ করতে চলে আসেন। তারা গত সোমবার পর্যন্ত বাড়িতে আসেননি। একইভাবে তার সেঝ ভাই সুমন দাস এক সপ্তাহ আগে স্বপরিবারে ছয়ঘরিয়ায় শ্বশুর বাড়িতে চলে যায়। গত সাড়ে পাঁচ মাসেও পুলিশ তার দায়েরকৃত মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেনি। ফলে ওই এলাকার একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী বেপরোয়া হয়ে ওঠে। প্রান্ত