রংপুরের বিষেশ আদালতের পিপি আওয়ামী লীগ নেতা রথীশ চন্দ্র ভৌমক বাবু সোনা হত্যা রহস্য আরও জটিল হচ্ছে। হত্যা মামলার সুরতহাল রিপোর্ট, জব্দ তালিকা কিংবা আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে। মামলার আসামি ৫ জন হলেও এখন পর্যন্ত এ মামলায় ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২ জনকে জড়িত না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদের একজন বাবুসোনার মেয়ে অরিত্রি, অন্যজন তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মতিউর রহমান। লাশ উদ্ধারের আগে বাবু সোনা নিখোঁজ মামলায় ৯ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই ৯ জন কোথায় তার হদিস নেই।
ময়না তদন্তকারী চিকিত্সক ডা. কপিল উদ্দিন এর ভাষ্যমতে, বাবু সোনার মরদেহের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক কাদামাটিতে মুখ ঢাকা থাকায় পায়ের জুতা মোজা দেখে ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেছেন। পুলিশের জব্দ তালিকায় বাড়ির পিছনে বাঁশঝাড় থেকে উদ্ধার করা বাবু সোনার রক্তমাখা শার্ট জব্দ দেখানো হয়েছে।
র্যাবের দেওয়া তথ্য মতে, তাকে ১০টি ঘুমের বড়ি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানোর পর অচেতন করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হলে রক্তমাখা শার্ট এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন এলো কিভাবে। এ ধরনের নানা প্রশ্ন এখন তার ঘনিষ্ঠজন ও নগরবাসীর মুখে মুখে। একটি মহল এসব প্রশ্ন আড়াল করে শুধু পরকীয়ার কাহিনী প্রচার করছে।
অপরদিকে বাবু সোনার পৈতৃক ভিটা নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের বিষয়টি ঢাকা পড়ে আছে। জানা গেছে, বাবু সোনা পৈতৃক ভিটার সামনের অংশে বহুতল ভবনের ভিত্তি দিলে পরিবারের পক্ষ থেকে চরম বাধা আসে। ফলে তিনি নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। পরে দুদকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া কাউনিয়া উপজেলার ভূতছড়া মৌজায় প্রায় ৮ কোটি টাকা মূল্যের জমি নিয়ে বাবু সোনার সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল বলেও বিভিন্ন মুখে শোনা যাচ্ছে। সূএ: ইত্তেফাক