ফিল্মী স্টাইলে যেভাবে জমি আর ভিটেমাটি দখল করে বল্লভ দাসের পরিবারকে উচ্ছেদ করা হলো……..
আপনারা ইতিমধ্যে অনেকেই জেনেছেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের মাঝিগাছা গ্রামের বল্লভ দাসের পরিবারের জমি আর ভিটেমাটি দখল করে নিয়েছে স্থানীয় ভূমিদস্যু মানিক মিয়া। অসহায় এই হিন্দু পরিবারটির তথ্যমতে জাল কাগজপত্র সৃষ্টি করে প্রতারনার মাধ্যমে এই ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে।
গত ৪ঠা এপ্রিল বুধবার দুপুরে আনুমানিক ৪০০-৫০০ জনের একদল লোক হামলা চালায় বল্লভ দাসের পরিবারের উপর। বল্লভ দাসের স্ত্রী ও তার পুত্রবধূকে প্রথমে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করা হয় তারপর মানিক মিয়ার সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের ঘর ভেঙ্গে ঘরের ছাউনি ও বেড়া পাশে অবস্থিত পুকুরে ফেলে দেয়। শুধু তাই নয়, এইসময় প্রায় ১০০ বছরের পুরনো রাধা-কৃষ্ণ ও মনসা মন্দিরও ভেঙ্গে ফেলে। ঘরের সামনে লাগানো গাছগুলোও গোরা থেকে কেটে মন্দিরের পাশে অবস্থিত ডোবাতে ফেলে রেখে যায়। ঘরে রাখা স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মূল্যবান সামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হয়।
বল্লভ দাসের কৃষিজমিতে লাগানো ধানগাছ কেটে ফেলা হয়; হামলা দখল এবং লুটপাট শেষ হওয়ার পর মানিক মিয়া হুমকি দেয়, স্থানীয় কেউ যদি এই হিন্দু পরিবারের পাশে দাঁড়ায় তার বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মামলা করা হবে।
দরিদ্র হিন্দু পরিবারটি এখন প্রশাসনের প্রতিও নিরুৎসাহিত কারণ পরিবারের সদস্যদের ভাষ্যমতে, হামলার সময় পুলিশের উপস্থিতি ছিলো আর পুলিশ গ্রামের মানুষ কাউকে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে দেয়নি। পরিবারটি বর্তমানে নিঃস্ব। তারা এ বিষয়ে সাংবাদিক, মিডিয়া সহ সরকারের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কে এই মানিক মিয়া? তার হাত কি প্রশাসনের চাইতেও লম্বা? কেন গত চার দিনেও প্রশাসনের তরফ থেকে বল্লভ দাসের পরিবারের জন্য কিছু করা হলোনা? এত বড় জঘন্য ঘটনা সংগঠিত করার পরও মানিক মিয়া এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী কিভাবে প্রশাসনের ন চোখের সামনে ঘুড়ে বেড়ায়?