বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ। পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য রাখতে প্রতিবছর ২২ এপ্রিল এ দিবসটি পালন করা হয়।
প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের আহ্বানের মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ধরিত্রী দিবস। আর্থ ডে নেটওয়ার্ক নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে স্বাস্থ্যকর প্রকৃতির জন্য এবারে ৪৮ তম বার পালিত হচ্ছে দিবসটি। এ বছরের আয়োজনে ১৯২টি দেশের শত কোটিরও বেশি মানুষ অংশ নেবে। পরিবেশগত বিষয়ে বৈশ্বিক দিবস হিসেবে ধরিত্রী দিবস বিশ্বের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক দিবস বলে বিবেচিত হয়। প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ আর পুনব্যবহারের প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করাকেই এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৯৭০ সালে পরিবেশ আন্দোলনের সূচনা থেকেই ধরিত্রী দিবস পালন হয়ে আসছে। আধুনিক পরিবেশবাদের জন্মের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে র্যাচেল কারসনের লেখা বই ‘সাইলেন্ট স্প্রিং’ এর প্রকাশন। ১৯৬২ সালে কীটনাশকের বহুল ব্যবহারের ক্ষতি নথিভুক্ত করে ওই বই প্রকাশিত হয়। ২৪ টি দেশে পাঁচ লাখ কপি বিক্রি হলে পরিবেশগত বিষয়ে জনসচেতনতার বিচ্ছুরণ ঘটে আর তা সংহত হয়েই প্রথম ধরিত্রী দিবস পালিত হয়। ২০২০ সালে ধরিত্রী দিবসের ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান্তা বারবারায় ব্যাপক তেল ছড়িয়ে পড়ার ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করে মার্কিন সিনেটর গেইলর্ড নেলসন প্রথম এই ধারণা দেন। তিনি যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন। প্রথম ধরিত্রী দিবসেই ২০ মিলিয়ন আমেরিকাবাসী স্বাস্থ্যকর পরিবেশের দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছিলেন।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ২০১৮ সালে দিবসটি প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের ডাক সংহত করবে। এর মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিকের একবার ব্যবহার বন্ধে বৈশ্বিক তৎপরতা ও প্লাস্টিক বর্জ্যের ধ্বংসের বিষয়ে সমন্বিত আইন প্রনয়ণের উদ্যোগ। দিনটিতে আর্থ ডে নেটওয়ার্ক বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে প্লাস্টিক ব্যবহার ও এই বর্জের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন করবে। প্রতীয়মান হচ্ছে সাগর, পানি ও বন্যজীবনে ধ্বংস না হওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।