ভারতের গুজরাটের গীর সোমনাথ জেলার দুইটি গ্রামের তিন শতাধিক দলিত হিন্দু রবিবার বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নিয়েছেন। ২০১৬ সালে গুজরাটের উনার মোটা সমাধিয়ালা গ্রামে তথাকথিত ‘গো-রক্ষক’ উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের হাতে নির্যাতিত হন বেশকিছু দলিত যুবক। মরা গরুর চামড়া ছাড়ানোর জন্য জনসমক্ষে বেঁধে বেত দিয়ে তাদের ব্যাপক মারধর করা হয়। ২৯ মার্চ ২০১৮ রবিবার ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের মধ্যে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।
নির্যাতিত একজনের পিতা বালু সারভাইয়া দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে বলেছেন, ‘আমাদের ছেলেদের নির্মমভাবে বেত মারার ঘটনার দুই বছর হলো। অথচ এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার কিছুই করলো না…আমরা সুবিচার পাইনি। অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দলিত বিদ্রোহ এগিয়ে নিতেই আমরা বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করলাম। আরও যেসব দলিত নিরবে নির্যাতন ভোগ করছে, তারাও আজ অথবা কাল বৌদ্ধ হয়ে যাবে।’ তবে গুজরাটের কোনও নেতৃস্থানীয় দলিত নেতা, যেমন ভাডগ্রামের এমএলএ জিগনেষ মেওয়ানি, ওই ধর্ম পরিবর্তনের অনুষ্ঠানে যাননি।
ভারতের তিনজন বৌদ্ধ ধর্মগুরু ধর্ম পরিবর্তনের অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। জানুয়ারিতে এই ধর্ম পরিবর্তনের হুমকি দিয়েছিল উনার মোটা সমাধিয়ালা গ্রামের দলিতরা। কয়েক দিন আগে তাদের কয়েকজনকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে গ্রামের চারদিকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। গুজরাট পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা সেখানে নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৬ সালে উনায় গো-রক্ষকদের হাতে দলিত কয়েকজন যুবকের বেত্রাঘাত খাওয়ার ঘটনা সে সময় দলিতদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে নানা ইস্যুতে দলিতরা সহিংস বিক্ষোভ দেখিয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।