গোপালগঞ্জ পৌর মহা শ্মশানের কালী মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার রাত ১১টার দিকে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কাজী লিয়াকত আলী ও পুলিশ কর্মকর্তারা শ্মশান পরিদর্শন করেছেন।
গোপালগঞ্জ পৌর মহাশ্মশানের পূজারী চন্ডিদাস বিশ্বাস বলেন, আমি শ্মশান কালী মন্দিরের পিছনে একতলা ভবনে থাকি। রাত ১১টার দিকে মন্দিরে শব্দ শুনতে পাই। শব্দ শুনে মন্দিরে কারা জিজ্ঞাসা করলে তারা আমার ঘরের সামনে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাইরে আসতে বলে এবং আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। সকালে মন্দিরে গিয়ে দেখতে পাই কালী মূর্তির বাম হাতের দুটি আঙ্গুল ও মাথার ডান পাশের কিছু অংশ ভাঙা। মন্দিরের মধ্যে একটা লম্বা বাঁশও দেখতে পাই। মন্দিরের গেটের বাইরে থেকেই তারা লম্বা ওই বাঁশ দিয়ে মূর্তি ভেঙেছে বলে জানান ওই পূজারি।
গোপালগঞ্জ পৌর মহাশ্মশানের সভাপতি ভিষ্মদেব মৃধা বলেন, “বুধবার রাতে কে বা করা শ্মশানে কালী মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর করেছে।
“সকালে শ্মশানের পূজারি চণ্ডিদাস বিশ্বাসের কাছে খবর পেয়ে শশ্মানে ছুটে যাই এবং বিষয়টি পুলিশকে জানাই।
“আমরা এখানে হিন্দু-মুসলমান খুবই সম্প্রীতির সাথে বসবাস করি। মহা-শ্মশানে যত ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়, তাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করে থাকে সবাই।”
মন্দিরটি পরিদর্শন করে এসে গোপালগঞ্জ সদর সার্কেলের এএসপি মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছেন তারা।
ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান ওই কর্ম