কলকাতা বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করতে শান্তিনিকেতনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৫ মে (শুক্রবার) ভারতের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও বিশেষ অতিথি হিসেবে তিনি যোগ দেবেন।
তবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগদানের পাশাপাশি বাংলাদেশ ভবনেরও উদ্বোধন করবেন তিনি। মূলত এই কারণেই তার শান্তিনিকেতন সফর। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যৌথভাবে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন হবে।
শান্তিনিকেতন ও আসানসোলের বাইরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরও দুটি সংক্ষিপ্ত সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। নতুন সূচির মধ্যে রয়েছে বিশ্বকবির জন্মভিটে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ি ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বাড়ি নেতাজি ভবন পরিদর্শন। কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামী ২৫ মে শান্তিনিকেতনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগদান ও বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে বিশেষ বিমানে কলকাতায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দক্ষিণ কলকাতার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে রাত্রীযাপন করার আগে বিকেল চারটায় মধ্য কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন তিনি। ৪০ মিনিটের এই পরিদর্শন সূচিতে প্রধানমন্ত্রী কবির জন্মভিটে পরিদর্শন করবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জোড়াসাঁকো বা রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতায় ফিরে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বাড়ি ‘নেতাজি ভবন’ পরিদর্শন করবেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর এই সূচি সম্পর্কে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের হেড অব চ্যান্সারি বিএম জামাল হোসেন বলেন, ‘দুটি সূচির বিষয়ে উপ-দূতাবাস কাজ করছে।’
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান ও ঢাকা থেকে আগত দুজন কর্মকর্তা আগে থেকেই এই দুটি স্থান পরিদর্শন করেছেন।
সূত্র জানায়, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা কলকাতা, আসানসোল ও শান্তিনিকেতন পরিদর্শনে রওনা হবে।