সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তির পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম আলমগীর হোসেন ওরফে আলীম সরদার (৩৫)। সে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের হামেজউদ্দিন সরদারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ১০ বছরের এক শিশু কণ্যা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাইরে এলে প্রতিবেশি আসামী আলীম সরদার তার মুখে গামছা গুজে দিয়ে পার্শ্ববর্তী কিনুলাল গাইনের মেহগনি বাগানে নিয়ে যেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মেয়েটির আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুঁটে এলে আলীম পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে আলমগীর ওরফে আব্দুল আলীমের নাম উল্লেখ করে কলারোয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯(৪) খ ধারায় একটি মামলা(০৭/২০১০ নং) দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক শেখ মেজবাহউদ্দিন ২০১০ সালের ৩১ জুলাই এজাহারভুক্ত আসামীর নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পাঁচজন সাক্ষী ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে আসামী আলমগীর ওরফে আলীমের বিরুদ্ধে ওই শিশু কণ্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক উপরোক্ত রায় ঘোষনা করেন। এ সময় আসামী আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন না।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. নাদিরা পারভিন।