ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের শঙ্করধবল গ্রামের একটি দূর্গামন্দির ও মন্দিরের প্রতিমা প্রতিপক্ষরা ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শঙ্করধবল গ্রামের লোকনাথ ব্রহ্মচারি সেবা আশ্রম সংলগ্ন সার্বজনিন টিনের দূর্গমন্দিরটি গত বুধবার সকাল ১০ টার দিকে স্থানীয় সুজীত ঘরামী নামে এক যুবকের নেতৃত্বে জীবন বেপারী, শঙ্কর হাওলাদারসহ ৮/১০ জন ব্যক্তি মিলে ভাংচুর করে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এসময় তারা মন্দিরের ভিতরে থাকা দূর্গ, লক্ষি, স্বরস্বতী ও কার্ত্তিকসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা ভাংচুর করে। এঘটার পরেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, ২০০৩ সালের দিকে এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। শঙ্করধবল গ্রামের উত্তম কুমার ঘরামি নামের এক ব্যাক্তি মন্দিরের নামে চার শতাংশ জমি দান করেন। এর পর থেকে নিয়মিত ওই মন্দিরে দূর্গপুজাসহ বিভিন্ন পূজা অর্চনা করা হয়। গত বছরও জাক জমক ভাবে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজা অর্চনার জন্য এই মন্দিরের নামে সরকারি ভাবে টিআর বরাদ্দও পেয়েছে। এই মন্দিরের কোয়াটার কিলোমিটার দুরে আর একটি দূর্গামন্দির রয়েছে। ওই মন্দিরের লোকজনরা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই মন্দিরের বিরোধিতা করে আসছে। এরাই মিলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস শুক্কুর মোল্লার ইন্দনে এই মন্দির ভাঙ্গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মন্দিরের জমি দাতা উত্তম কুমার ঘরামি। এদিকে এই বিষয়টি মিমাংসার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস শুক্কুর মোল্লা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষকে নিয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় সভা করেও কোন সমাধান দিতে পারেনি বলে জানাগেছে। শঙ্করধবল গ্রামের লোকনাথ ব্রহ্মচারি সেবা আশ্রম সংলগ্ন সার্বজনীন দূর্গ মন্দিরের জমি দাতা উত্তম কুমার ঘরামি বলেন,‘ ২০০৩ সালে এই মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস শুক্কুর মোল্লা ও গ্রামের কিছু লোক বার বার দুইটি মন্দির ভেঙ্গে একটি মন্দির করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে। গত দূর্গাপূজায় চেয়ারম্যান টিআর দিতে বাঁধা দিয়েছে কিন্তুু পারেনি। চেয়ারম্যানের অনুসারি সুজিদ ঘরামি আমাদের মন্দির ভাংচুর করেছে। মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুব্রত হাওলাদার বলেন,‘ যারা আমাদের মন্দির ও মন্দিরের প্রতীমা ভাংচুর করেছে আমরা তাদের বিচার চাই। এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল শুক্কুর মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন,‘ এখানে এমন কিছু ঘটে নাই, এটা নিয়ে সাংবাদিকদের অত মাতামাতি করা লাগবে না। এটা আমরা উভয় পক্ষ মিলে একটা ব্যবস্থা করতেছি। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি ( ভারপ্রাপ্ত ) আবু তাহের মিয়া বলেন,‘ এব্যারে সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দুই পক্ষকে নিয়ে থানা বসা হয়েছিল। লোকনাথ ব্রহ্মচারি সেবা আশ্রম সংলগ্ন সার্বজনীন দূর্গ মন্দিরের পক্ষে মাত্র চারজন লোক ছিল আর অন্য পক্ষে বেশি লোক ছিল। বিকেলে আবার উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করার কথা রয়েছে। এব্যাপারে এখনও কোন পক্ষ লিখিত কোন অভিযোগ করেনি।
ঝালকাঠী প্রতিনিধিঃ……