এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলছেন দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। সাক্ষী থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দিতে রাজ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবর্তন শেষে কলকাতায় ফিরবেন তিনি। তাই, আজ বিকেল চারটে থেকে রাত দশটা পর্যন্ত কলকাতার একাধিক রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এদিকে সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে সাজোসাজো রব বিশ্বভারতীতে। মোদি-মমতা-হাসিনা। তিন হেভিওয়েটের উপস্থিতি! নিরাপত্তার কড়াকড়ি গোটা শান্তিনিকেতন জুড়ে।
১০ বছর পর আচার্যের উপস্থিতিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্বভারতীতে। আচার্য নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও এবারের সমাবর্তনে থাকছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি।
তবে শেখ হাসিনা এর আগে বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ সম্মান ‘দেশিকোত্তম’ গ্রহণ করতে এসেছিলেন।
সকাল ১০টা নাগাদ হেলিকপ্টারে শান্তিনিকেতনে পৌঁছেছেন মোদি-হাসিনা। পৌষমেলার মাঠে হেলিপ্যাডে নামার পরে দু’জনে গিয়েছেন উত্তরায়ণে। সেখান থেকে আম্রকুঞ্জে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। আম্রকুঞ্জে অনুষ্ঠানের পরে দুই প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী চলে যাবেন বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনে। মূল অনুষ্ঠানের পর দুপুরে রথীন্দ্র অতিথিগৃহে মধ্যাহ্নভোজের সারবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
এরপরই বৈঠকে বসবেন মোদি-হাসিনা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দুই শীর্ষ নেতার আলোচনায় রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়সহ জঙ্গিবাদ, তিস্তা জলবন্টন, সীমান্ত অনুপ্রবেশের বিষয়গুলো উঠে আসতে পারে।
বুধবার থেকেই শান্তিনিকেতনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ। সঙ্গে রাজ্য পুলিশের বিশেষ বাহিনীও থাকছে। দিনভর হেলিকপ্টারে চলছে নজরদারি।
শান্তিনিকেতনকে ৪০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ২০টি অস্থায়ী ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। ডিগ্রি প্রাপক এবং কর্মী, অধ্যাপকদের বিশ্বভারতীর পরিচয়পত্র ও আমন্ত্রণপত্র নিয়ে মূল অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে। নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে পর্যটকদের গতিবিধিও। বেলা ২.৩০ নাগাদ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক সেরে বিশ্বভারতী থেকে বেরুবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক সেরে বিকালেই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।