মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় আত্মীয়ের বাড়িতে বাবার সঙ্গে পূজা দেখতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিতার ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
মামলা দায়েরের দুই দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত ধর্ষক ঘিওর উপজেলার কলতা গ্রামের জসিম মিয়ার ছেলে জনি (২০), বাবলু মিয়ার ছেলে রুবেল (২৬) ও ইয়াদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী মানিকগঞ্জ শহরের একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। মঙ্গলবার বাবার সঙ্গে জেলার ঘিওর উপজেলার কলতা গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পূজা অনুষ্ঠানে গেলে গণধর্ষণের শিকার হয় সে।
নির্যাতিতা ওই ছাত্রীর ভাই জানান, তার বোন মঙ্গলবার বাবার সঙ্গে ঘিওর উপজেলার কলতা গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে পূজা অনুষ্ঠানে যায়। ওই দিন রাত ৮টার দিকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে কলতা গ্রামের জসিম মিয়ার ছেলে জনি তাকে ডেকে পাশের ফাঁকা মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে জনি ছাড়াও একই এলাকার বাবলু মিয়ার ছেলে রুবেল ও ইয়াদ আলীর ছেলে শহিদুল তাকে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর এলাকার কয়েকজন ধর্ষকদের হাতেনাতে আটক করে। কিন্তু তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমানসহ স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি নির্যাতিতার বাবাকে মামলা না করতে চাপ দিতে থাকেন। এক লাখ টাকা নিয়ে ঘটনা মীমাংসা করতে বলেন তারা। এতে রাজি না হওয়ায় নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন।
কিন্তু তাদের হুমকি ধামকি উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার রাতে ওই তিন যুবককে আসামি করে ঘিওর থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতার ভাই।
নালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মজিবর রহমান আপসের চেষ্টার কথা স্বীকার করে বলেন, মেয়েটি ভিন্ন ধর্মের এবং অল্প বয়সী হওয়ার কারণে আপসের চেষ্টা করা হয়েছিল।
মানিকগঞ্জের শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাবুবুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই দিনই মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য তাকে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রেরণ করা হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।