অনলাইন ডেস্ক: ফিরদৌসের কাণ্ডে হৈচৈ পরে গিয়েছে সীমান্তের দুপারে। একজন বিদেশি নাগরিক কি করে ভারতীয় ভোটারকে বলতে পারে যে সে কাকে ভোট দেবে? এই প্রশ্ন তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। অভিযোগ করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকে। কিকরে কাজের ভিসা নিয়ে এসে , এদেশে রাজনীতি করছেন? অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বিদেশ মন্ত্রক। বিজেপি ইতিমধ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
ফেরদৌসকে নিয়ে ভারতে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা গিয়ে পৌঁছেছে স্বয়ং বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কানে। গোটা ঘটনায় রীতিমতো বিরক্ত তিনি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে বরাবর গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন হাসিনা, এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই বিরক্ত শেখ হাসিনা। বিতর্ক কানে যেতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রক। বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় কলকাতায় তাদের ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে। পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, এক্ষুনি ফেরদৌসকে বাংলাদেশে ফেরৎ আনতে হবে।
এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে রাজ্য সিইও দফতরে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে প্রতিনিধিদল পাঠাবার সিধান্ত হয়েছে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ফেরদৌস জামাতের চর এই রাজ্যে জামাতের উপস্থিতি আছে, খাগড়াগড় কাণ্ডে সেটা প্রমাণিত হয়েছে, দলের দাবি এখানে ভোটকে প্রভাবিত করতে তাদের কোনো ভূমিকা আছে কিনা, ফেরদৌসকে প্রচারে নামানোর পেছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখুক এনআইএ।