একটি হিন্দু নাবালিকা মেয়ে (ঐশী চৌধুরী )রহস্য জনক অপহরন করাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার (৩১।০১।২০২০) তারিখ চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার অন্তর্গত দোহাজারী পৌর এলেকায় বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ তদন্ত আরম্ভ করেছেন।
নাবালিকা মেয়ে ঐশী চৌধুরীর প্রকৃত বয়স পনেরো (১৫) বৎসর
জন্ম সনদ অনুসারে। মেয়েটি চলতি বছরেরের এস, এস, সি পরিক্ষা দিবে । দোহাজারী
জামিরজুরি এ, রহমান বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সে ।
নাবালিকা
মেয়েটির বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার দোহাজারী এলাকায় । বাবা রুপন
চৌধুরী কাজের ক্ষেত্রে দেশের বাইরে অবস্তান করে, মা গৃহীনি । তিন বোন এক
ভাই । অপহৃত মেয়েটি সবার বড়।
মেয়েটির মা সীমা চৌধুরী অপহরণের পর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি নাম্বার ৭৮৫ তারিখ ২২।০১।২০২০ লিপিবদ্ধ করেন, কিন্তু মেয়ের বয়স দেখানো হয়েছে ১৯। মেয়ের মা ( BDMW) কে বলেন “আমার মেয়েকে মুসলিমরা অপহরন করতে পারে” ডায়েরি পর্যালোচনা করে দেখা যায় মেয়েটির মা এই কার্যকলাপের সাথে জড়িত । পুলিশ মেয়েটিকে এখনো পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি । পুলিশের অবহেলাকেও দায়ি করা যায়।
বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ এর এক প্রতিনিধিদল গত ৩১ তারিখে সরজমিনে মেয়ের বাড়ি পরিদর্শন করেন , চন্দনাইশ থানায় গিয়ে অফিসার ইনচার্জ এর সঙ্গে কথা বলেন অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ এবং মেয়েটিকে উদ্ধরের অনুরোধ করেন কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য মেয়ের মা মেয়ের বয়স উল্লেখ করেছেন ১৯ বছর, কিন্তু আমরা কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে দেখতে পাই যে মেয়েটির বয়স জন্ম সনদ অনুযায়ী ১৫ বছর ২ মাস। নাবালিকা বা নাবালক দেশের আইন অনুসারে বিয়ে দেওয়া অপরাধ এবং বিয়ে করা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে । তাই বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের পক্ষ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি এবং অপহরণকারীর শাস্তি দাবি করছি। যাতে মেয়েটিকে অনতিবিলম্বে তার মা-বাবার কাছে ফেরত যায় । ব্যাপারটা আমরা মনে করছি খুবই জটিল এটা জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ ।