হলদিয়ায় ১৮ ফেব্রুয়ারি নদীর পাড়ে যে দু’টি দেহ মিলেছিল, তা মা-মেয়ের। তা-ও আবার জানা গেল ফেসবুকের সূত্র ধরে!
রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধে মা-মেয়েকে কলকাতা থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হলদিয়ায়। দুর্গাচকের হাসপাতাল রোডের একটি বাড়িতে তাঁদের রাখার পরিকল্পনা করেছিল মেয়ের ‘প্রেমিক’ শেখ সাদ্দাম হুসেন। সেখানেই রাতের খাবারের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাওয়ানো হয় দু’জনকে। বেহুঁশ হয়ে পড়লে ওই রাতেই নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা, মা রমা ও মেয়ে রিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝিকুড়খালির নদীর পাড়ে। ভোররাতে সেখানে জীবিত অবস্থায় আগুন দেওয়া হয় মা-মেয়ের গায়ে। পুড়ে মারা যান ওই দু’জন। রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন হলদিয়ার পুিলশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, জোড়া খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ শেখ মনজুর আলম মল্লিক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জেরায় মনজুর সব স্বীকার করে। পুলিশ জানতে পারে, এই ঘটনার সঙ্গে আরও তিন জন জড়িত। তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত শেখ সাদ্দাম হুসেনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ইন্দিরা বলেন, ‘ময়নাতদন্তে দেহ দু’টি মহিলার বলে নিশ্চিত হওয়ার পর ফেসবুকের সূত্র ধরে তাঁদের পরিচয় জানতে পারি। এর পর তাঁদের ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে শনিবার দুই মহিলার পরিচয় উদ্ধার হয়। দু’জনে সম্পর্কে মা ও মেয়ে। তাঁরা উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা। তদন্তকারী অফিসাররা তাঁদের বাড়ি গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন।’
পুলিশ আরো জানায়, সাদ্দাম এবং তার সঙ্গী মনজুর আলম ছাড়াও আরও কয়েকজন জড়িত এই জোড়া খুনে। পুলিশ তাদের খোঁজ করছে।
এমন ঘটনা ঘটেছে মহারা্স্ট্রে পুলিশ সেখানে গুলিকরে মেরে দিয়েছিল ৪জনকে পশ্চিম বঙ্গে পুলিশ কি করে সেইদিকে তাকিয়ে সাধারন মানুষ । তবে বুদ্ধিজীবিরা নিরব কেন জনমনে সঙ্কা তাহলে বিজেপির বলা কথাই কি সত্য ওরা তৃনমূলের কেনা গোলাম ওদের কথা ছারা নাচে না মনন্জুর এবং সদ্দাম তৃনমূলের নেতা তাই তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেনা বুদ্ধিজীবিরা !
শান্ত ভুমিকায় পুলিশ জনমনে’মা-মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারায় মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম শুভেন্দুর ডান হাত’ তৃণমূলের হয়ে ভোট লুঠ করতে গিয়ে ধরা পড়ে। পুলিশ তাদের পরে ছেড়েও দেয়। অভিযুক্ত যুবক আমাদের মাননীয় মন্ত্রী শুভেন্দুবাবুর ডান হাত। হলদিয়ায় মা ও মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম হুসেনকে ‘তৃণমূলের একনিষ্ঠ ভক্ত’ বলে দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার বিধাননগরে নিজের বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ঘটনায় রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পুলিশি জেরায় সাদ্দাম দাবি করেছে, তার নগ্ন ছবি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন রিয়া ও রমা। তাই তাদের খুন করেছে সে। সাদ্দামের দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।