ভারতের নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভে বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়ী ব্যাবসা প্রতিস্টানের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার সহিংসতার তৃতীয় রাতেও বেশীরভাগ ঘটনায় হিন্দু বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা হয়েছে বলে জি নিউজ এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ২৩ জন নিহত হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আহত হয়েছেন অসংখ্য নাগরিক।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চলমান ঘটনাবলীকে গত এক দশকের মধ্যে ভারতে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে বলে জি নিউজ জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জি নিউজ সংবাদদাতারা বলছেন মূলত উত্তর-পূর্ব দিল্লির মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে মুসলিমরাই সহিংসতা সৃস্টি করেছে । সংঘর্ষকারীদের কারও কারও হাতে বন্দুক দেখা গেছে। এসব এলাকার সড়কগুলো এখন অনেকটা ধ্বংসস্তূপের মতো রূপ নিয়েছে, রাস্তায় পুড়ছে যানবাহন, উড়ছে ধোঁয়া।
বিক্ষোভকারীরা ভারী কুঠার, লোহার রড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন হিন্দুদের উপর। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো প্রাণঘাতী এই সহিংসতায় ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর তারা পাথর নিক্ষেপ ও গুলিও করেন মুসলিমরা।
জি নিউজ হিন্দির সংবাদদাতা অন্তত দুটি হিন্দু বাড়ী কয়েকটি প্রতিস্টানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে দেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা মৃত্যু দেহ জ্বালিয়ে দিতে দেখা গেছে লোকজনকে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবরে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকালে ৫০০ জনের মতো একদল মুসলিম আশক নগর এলাকায় একটি মন্দিরের দরজা ভেঙে ফেলে ভেতরে ঢোকে। তারা মন্দিরটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরবর্তী সন্ধ্যায় হিন্দু দোকানে আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করে দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একহিন্দু বলেন, তারা তিন ঘণ্টা ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এরপর পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে দিতে চলে যায়।
বুধবার সকালেও মন্দির সুরক্ষায় স্থানীয় হিন্দুদের টহল দিতেও দেখা গেছে।
উত্তরপূর্ব দিল্লির জাফরাবাদ, বাবরপুর, ব্রাহামপুর, গোরাখপার্ক, মৌজপুর, ভাজানপুরা, কবিরনগর, চান্দবাগ, গোকুলপুরি, কারওয়াল নগর, কাজুরিখাস ও কারদুমপুরেও দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভ উসকে দিতে পারে এমন বক্তব্য না দিতে রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।