স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন বছরের প্রথমদিনে রাজধানীসহ সারা দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হলো নতুন বই।
করোনা মহামারির কারণে এবার বই উৎসবের তেমন আমেজ নেই। প্রতিবছর ঘটা করে বই উৎসব করা হলেও এবার তাও হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উদয়ন স্কুলসহ বিভিন্ন স্কুলে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন শিক্ষকরা।
নতুন বই পেয়ে আনন্দিত করোনার কারণে দীর্ঘসময় ঘরবন্দি থাকা শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বই উৎসব ঘিরে তেমন আয়োজন ছিলো না। তারপরও বছরের প্রথমদিনে নতুন বই নিতে স্কুলগুলোতে সকাল থেকে ভিড় করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
নতুন বই নিতে বাবা-মায়ের হাত ধরে সকাল থেকে সিলেটের বিভিন্ন স্কুলে ভিড় করে শিক্ষার্থীরা। ভিড় এড়াতে প্রতিটি শ্রেণিতে একাধিকবার বই বিতরণের কথা জানান শিক্ষকরা।
বরিশালে সিসটারস ডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
খুলনার বিভিন্ন স্কুলে বই নিতে সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের ভিড়। নতুন বই পেয়ে আনন্দিত তারা।
এদিকে, নতুন বই পেতে রংপুরে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ। নগরের মুন্সিপাড়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজশাহীতে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয় বই। নতুন বইয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর সহপাঠীদের কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।
বিভাগীয় শহর ছাড়াও সারা দেশে সীমিত পরিসরে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়। সারা দেশে বই বিতরণ কার্যক্রম চলবে টানা ১২ দিন।