সুমন হালদার আশীসঃ
জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের এই সিদ্ধান্তে দেশে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তিনি সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করে গোটা জাতিকে উদ্দীপিত করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের প্রধান ছিলেন। প্রশ্ন আসে, তাঁর খেতাব ৪৮ বছর পর অপ্রমাণিত অভিযোগে বাতিল করা গেলে খেতাব বাতিলের কাজটি ভবিষ্যতে কত দূর যেতে পারে? জিয়াউর রহমান ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দলটির প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর খেতাব বাতিল রাজনৈতিক ।
কেউ কেউ বলছে মেজর জিয়া ১৯৭১ সালে মহান মুক্তি যুদ্ধে পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছিল ওরা ইতিহাস পড়ে না জানে না । ১৯৭১ সালে মহান মুক্তি যুদ্ধে অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে মেজর জিয়া পরিবারের পাক হানাদারেরা ব্যানেট দিয়ে খুচিয়ে হত্যা করেছিল মেজর ডাঃ নাইমুল ইসলাম বাচ্চু কে সে ছিল জিয়ার প্রিয় ছোট মামা বাচ্ছু মামা যে ছিল তার বন্ধুর মত
মামার আদর্শে সেও ডাক্তার হতে চেয়েছিল জিয়ার কমল নামটি তারই দেওয়া ।
তার বন্ধু মেজর রফিক লিখেছিল যে পাকঃ লেঃ কর্নেল লতিফ বাচ্চু মামাকে হত্যা করেছিল কমল তাকে সেই ভাবে ব্যানেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করেছিল বাচ্চু মামার মৃত্যুর পর সে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল পাকিস্তানি সৈন দেখলেই ওদের মারতে ছুটে যেত সেই কমল কি ভাবে পাকিস্তানের সৈন্যদের সহযোগিতা করে আমার বোধগম্য হচ্ছে না ।
বাংলাদেশের রাজনীতি একটি মিথ্যে ছাইয়ের স্তুপের উপরে দারিয়ে
বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিক্ততা আর ঘৃণার শেষ নেই। এসব তিক্ততা জারি থাকলে বা বাড়লে অনৈক্য আর হানাহানি বাড়ে, দেশের অন্তর্নিহিত শক্তি কমে যায়, রাষ্ট্রসত্তা দুর্বল হয়ে পড়ে। কোনো কোনো মহলের জন্য তা লাভজনক হলেও দেশের জন্য তা চরম ক্ষতিকর।
মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলকে কি এমন কোনো হাতিয়ারে পরিণত করার চেষ্টা চলছে?