কুমিল্লা উপজেলার পীরযাত্রাপুর গ্রামে একটি কালি পূজামন্ডপে মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও ধারন কারকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ২টিপ্রতিমা ভাংচুর করেছে। পীরযাত্রাপুর গ্রামের বর্মন (ঝাড়– বাড়ির ) কালী পূজামন্ডপে এই ঘটনা ঘটে ২২ অক্টোবর রবিবার দুপুরে।
জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ঝাড়ু বাড়িতে কালিপূজা চলাকালিন হিন্দু মেয়েদের নাচ-গান এন্ডুয়েড মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে পূর্বের বিরোধেরজের ধরে গতকাল রবিবারসকালে ঝাড়– বাড়ির প্রবাসী অপু সহ ৩-৪ জন হিন্দু যুবককে গোবিন্দপুর বাজারে সংলগ্ন ব্রীজের উপর পথরোধ করে তাদেরকে মারধর করে আহত করে এবং পুনরায় রবিউলের নেতৃত্বে ৫-৭ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ওই হিন্দু বাড়ির মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে । এ ঘটনায় কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন এবং বুড়িচং থানার ওসি মনোজ কুমার দে, ওসি তদন্ত নজরুল ইসলামঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
রবিবার হরেন্দ্র চন্দ্র বর্মনের ছেলে ওমান প্রবাসী অপু বর্মন (৩০) জেলার হোমনা উপজেলার তার বন্ধুর বাড়িতে টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় সকাল ১১ টায় স্থানীয় গোবিন্দপুর গোমতী নদীর ব্রীজের উপর তার তিন বন্ধুকে রবিউল ও তার সঙ্গীয় ৪/৫ জন মিলে পথরোধ করে মারধর করে ৩ জনকে আহত করে। রমেশ বর্মন, অপু বর্মন ও শিপন বর্মন বলেন, তাদের সঙ্গে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায় ।
স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপু বর্মন ও রমেশ বর্মন ভর্তি করেন। দুপুর ১২ টার দিকে ওই যুবকরা মিলে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র ও লাঠি নিয়ে কালিমন্দিরে হামলা চালিয়ে দুটি প্রতিমা ভাংচুর করে ।
এব্যাপারে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মনোজ কুমার দে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং এ ঘটনাস্থলে জড়িত থাকা সকলকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এই রির্পোট লেখার আগে জেলার অতিরিক্ত আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তারা সততা নিশ্চিত করেন।মামলা প্রক্রিয়াধীন চলছে বলেওসি মনোজ কুমার দে জানান।