জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ক্ষুর দিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে আরেক ছাত্রের বিরুদ্ধে। আহত মিঠুন বাড়ৈকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ডান বাহুতে ক্ষুরে কাটা গভীর দাগ দেখা গেছে। মিঠুন মনোবিজ্ঞান বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম শান্ত হামলার কথা স্বীকার করলেও ক্ষুর ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের নিচে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মিঠুনের হাতে শান্ত ক্ষুর দিয়ে আঘাত করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্ররা জানান।
এক শিক্ষার্থী বলেন, “ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দেওয়ার সময় শান্তর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় মিঠুনের। মিঠুন এক পর্যায়ে শান্তকে চড় মারে। তখন শান্ত তার সঙ্গে থাকা ক্ষুর দিয়ে মিঠুনকে আঘাত করে পেছনের গেইট দিয়ে পালিয়ে যায়।”
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডিকে জানালে সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে মিঠুনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
শান্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের অনুসারী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শান্ত বলেন, “আমার এক আপু ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা দিচ্ছিলেন। মিঠুন বাড়ৈ তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি করেন। আমি তাকে থামতে বলি। এসময় মিঠুন আমাকে ঘুষি মারে। এ সময় আমার হাতে রড ছিল। রড দিয়ে তার হাতে আঘাত করি।”
রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি জবি ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ভাইয়ের সঙ্গে রাজনীতি করি।”
তার এই বক্তব্য নাকচ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল। তিনি বলেন, “ঘটনার সময় আমরা কলা ভবনে ছাত্রদলবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ করছিলাম। ছাত্রলীগের কর্মী হলে তো আমাদের সঙ্গেই থাকত।”
ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার সময় দুই ‘সাধারণ শিক্ষার্থীর’ মারামারির খবর শুনে সংগঠনের কয়েকজন নেতাকে সেখানে পাঠিয়েছিলেন বলে জানান তরিকুল।
“তারা আহত মিঠুনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়।” সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, তারা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।