প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাইক্লোন শেল্টার কাম প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন উদ্বোধনের আগেই বিলীন হলো তেতুলিয়া নদীতে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টায় তেতুলিয়ার তীব্র ভাঙ্গনে ভবনটির দুই-তৃতীয়াংশ বিলীন হয়। অবশিষ্ট অংশ ধ্বংসস্তুুপে পরিনত হয়েছে। যে কোন মুহুর্তে ওই ধ্বংস্তুুপও নদীগর্ভে হারিয়ে যেতে পারে।
নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়া এ প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সাইক্লোন শেল্টার কাম বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উত্তাল তেতুলিয়া-কালাবদর নদীর কাজীরদোয়ানী মোহনায় এই প্রতিষ্ঠানটির নির্মান কাজ সম্প্রতি শেষ হলেও এখন পর্যন্ত উদ্বোধন হয়নি। শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ সাইক্লোন শেল্টার কাম বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই-তৃতীয়াংশ তেতুলিয়ায় বিলীন হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, এখনও ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে শ্রীপুর বাজার, শ্রীপুর জামে মসজিদ ও বাহেরচর কওমী মাদ্রাসা। বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মাহমুদ হোসেন জানান, অনেকদিন ধরে সাইক্লোন শেল্টার কাম বিদ্যালয় ভবনটি হুমকির মুখে ছিল। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ফের ভাঙ্গন শুরু হলে ভবনটির দুই-তৃতীয়াশ নদীতে বিলীন হয়। অবশিষ্ট অংশ ধ্বংসস্তুুপে পরিনত হয়েছে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী বোরহানউদ্দিন মোল্লা জানান, নির্মান কাজ শেষে গত ২৮ জুন সাইক্লোন শেল্টার কাম বিদ্যালয় ভবনটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়লে গত ২২ অক্টোবর ওই ভবন নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। বিক্রির আগেই মঙ্গলবার রাতে ভবটির বেশীরভাগ নদীতে বিলীন হলো। স্থানীয় বাসিন্দা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মো: লোকমান হোসেন বলেন, এলজিইডির অর্থায়নে ২০১৬ সালে যখন সাইক্লোন শেল্টার কাম বিদ্যালয় ভবন নির্মান কাজ শুরু হয় তখন ওই স্থান থেকে তেতুলিয়ার দুরত্ব ছিল মাত্র আধাকিলোমিটার। ঝুকিপূর্ন জেনেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভবন নির্মানের জন্য ওই স্থানটি সনাক্ত করেন। ভাঙ্গনের ফলে নির্মানে ব্যায় হওয়া ৭০ লাখ টাকার