ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ফ্রিডম পার্টির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা দুই মামলার রায় রোববার ঘোষণা করা হবে।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন আদালত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় গত ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাহিদুল কবির রায়ের জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
এর আগে ১৫ অক্টোবর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে একই বিচারক প্রধানমন্ত্রী হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ঘোষণার জন্য উল্লিখিত দিন ধার্য করেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আলহাজ শাহ আলম তালুকদার যুগান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। ওই সময় বাড়িতেই ছিলেন শেখ হাসিনা। ওই ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে। হামলাকারীরা তখন ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। দুটি চার্জশিটে আসামিরা একই।
২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত।
মামলায় ১২ আসামি হলেন- গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমান, হোমায়েন কবির, মো. শাজাহান বালু, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রশীদ, জাফর আহম্মদ এবং এইচ কবির। এদের মধ্যে প্রথম চারজন কারাগারে, পরের পাঁচজন জামিনে ও শেষের তিনজন পলাতক রয়েছেন।