অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে সম্প্রতি ২৪ ছাত্রী মাদ্রাসার সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ শিক্ষকের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ২৪ ছাত্রী মাদ্রাসা না আসার কথা লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় মাদ্রাসার সুপার নিয়ম রক্ষার কারণ দর্শানোর নোটিশ করেই দায় সেরেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ দিকে ছাত্রীদের ধর্ষণের বিষয়ে শনিবার দুপুরে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির এক সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় শিক্ষকের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। উদ্ভুত পরিস্থিতি সামলাতে মাদ্রাসা সুপার মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ইমাম হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নন্দনপুর কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় প্রায় দুই বছর আগে ইমাম হোসেন যোগদান করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার খানপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি শুরু থেকেই ছাত্রীদেরকে মাদ্রাসার পাশের এক বাড়িতে প্রাইভেট পড়ানোর সময় ধর্ষণ এবং মাদ্রাসাতে ক্লাসে পড়ানোর সময় যৌন হয়রানি করতো।
গত তিন মাস ধরে ছাত্রীদের সাথে এ সব করে আসছে। শিক্ষকের যৌন হয়রানি বিষয়টি ছাত্রীরা একাধিকবার সুপারকে জানালেও তিনি কর্ণপাত করেননি।
সম্প্রতি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির ২৪ জন ছাত্রী লিখিত অভিযোগ করে। এতে সুপার শিক্ষক ইমাম হোসেনকে ১০ অক্টোবর কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন। এরপর ইমাম হোসেন আত্মগোপনে চলে যায়। ১২ অক্টোবর তিনি শোকজের জবাব দেন।
প্রসঙ্গত, মাদ্রাসাটিতে ১২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন ছাত্রী জানায়, শিক্ষক ইমাম হোসেন কৌশলে তাদের সাথে প্রাইভেটের রুমে নিয়ে শারিরীক সম্পর্ক করেছে। ঐ শিক্ষক তাদের মত অন্তত ৪০-৫০ জন ছাত্রীর সাথে তিনি যৌনকর্ম করেছে। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাদের ক্ষতি হবে বলে চুপ থাকতে বলেন।
মাদ্রাসার সুপার মো. আতিকুর রহমান বলেন, শিক্ষক ইমামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে দু’বার তাকে শোকজ করা হয়েছে। জবাবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শনিবার দুপুরে মাদ্রাসা ছুটি দেওয়া হয়। রবিবার শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ আবুল কাশেম বলেন, বিষয়টি লজ্জাজনক, এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভা করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয় ।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। ছাত্রীদের অভিভাবকরা থানায় এখনো আসেনি। তাদের লিখিত অভিযোগের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।