রাজ্য সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় তীব্র সমালোচনা করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ডেঙ্গুশ্রী’ উপাধি দিয়েছে বিজেপির নারী মোর্চার সদস্যরা।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান বিশ্বরঞ্জন শতপথী বলেছেন, ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত এই রাজ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৬০০।
তবে বিরোধীরা রাজ্য সরকারের এই খতিয়ান মানছে না। তারা দাবি করেছে, রাজ্য সরকার ডেঙ্গুর মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা চেপে যাচ্ছে। তাদের দাবি, ইতিমধ্যে ডেঙ্গুতে ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে কম করে ৪০ হাজার মানুষ। কারণ ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ডেঙ্গুকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করার দাবি তোলেন। পাশাপাশি তিনি মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ারও দাবি তুলেছেন।
শনিবার শিলিগুড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘ডেঙ্গুকে যাতে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করতে না হয় সে জন্য রাজ্য সরকার ডেঙ্গুর তথ্য গোপন করছে। ২০১৬ সালে এই রাজ্যে ডেঙ্গুতে ৩৫ জন মারা গেলেও এবার ইতিমধ্যে ৯০ জন মারা গেছে।’
অন্য দিকে বিজেপির রাজ্য নারী মোর্চার সভাপতি ও অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ এনে মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
শনিবার কলকাতার হাজরা মোড়ে মিছিল করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপির নারী মোর্চার সদস্যরা। তাঁরা মশার প্রতীকে তৈরি পুতুল হাতে নিয়ে মিছিল করেন।
মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে ডেঙ্গুশ্রী সম্মান দিতে আমরা এই হাজরা মোড়ে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রী তো কন্যাশ্রী, যুবশ্রী দিয়েছেন। এবার আমরা দিলাম ডেঙ্গুশ্রী।