ঢাকায় বুধবার শুরু হচ্ছে আট দিনব্যাপী ৬৩ তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্স (সিপিসি)। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘কনটিনিউনিং টু এনহান্স দ্য হাই স্ট্যান্ডার্ড অব পারফরম্যান্স অব পার্লামেন্টারিয়ানস (সংসদ সদস্যদের উচ্চমানের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি অটুট রাখা)।’
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) এ সম্মেলনে ৫২ টি দেশের ১৮০ টি জাতীয় এবং প্রাদেশিক সংসদের সংসদ সদস্যসহ প্রায় সাড়ে পাঁচশ’র বেশি প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৫৬ জন স্পিকার এবং ২৩ জন ডেপুটি স্পিকার রয়েছেন।
সিপিএ বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে সম্মেলনে অংশ নিতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছেন। ২, ৩ ও ৪ নভেম্বর হোটেল র্যাডিসনে সিপিএ’র বিভিন্ন অঞ্চল, কমনওয়েলথ উইমেন পার্লামেন্টারিয়ানস, স্মল ব্রাঞ্চস নির্বাহী কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটির অভ্যন্তরীণ বৈঠক হবে। ৫ নভেম্বর সকালে এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন সিপিএ’র ভাইস প্যাট্রন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এক বর্ণিল আয়োজনে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মেলনের সাধারণ সভা, বিভিন্ন গ্রুপের মিটিং ও আটটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনেই পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্লামেন্টারি ফোরামের নতুন চেয়ারপারসন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে এর দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ৫ নভেম্বর চলমান রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সম্মেলনে অংশ নেয়া বিভিন্ন দেশের এমপিদের ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
আরও জানা গেছে, এ সম্মেলনে ‘ডেমোক্রেসি মাস্ট ডেলিভার : রোল অব পার্লামেন্ট অ্যাড্রেসিং দ্য চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক একটি ওয়ার্কশপের টপিক বাংলাদেশ নির্ধারণ করেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে দিক থেকে ভেবেছি সেটা হল জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমপিদের ওপর যে দায়িত্ব বর্তায়- মানে টু সার্ভ দ্য পিপল। সেটা করতে যে বিষয়গুলো আসে, সেগুলো চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি। গণতন্ত্র যদি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের প্রত্যাশাগুলো পূরণ করতে না পারে তাহলে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসডিজি নিয়ে আলাদা ওয়ার্কশপ হবে। সাধারণত এমপিরা যখন একসঙ্গে হয় তখন পার্লামেন্টারি প্রাকটিসের চ্যালেঞ্জিং বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ক্লাইমেট চেঞ্জ, ইকোনমকি ইন্টিগ্রেশন, দারিদ্র্য বিমোচন, ডেমোক্রেসিকে ফর্টিফাই করা, পার্লামেন্টারি প্রাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিউর শেয়ার করা, সুশাসন প্রভৃতি যে সমস্যাগুলো নিয়ে আমরা সব সময় কাজ করি সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।’
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনকে ঘিরে জাতীয় সংসদের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সিপিএ সম্মেলন ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজাকে। নিরাপত্তায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। একই সঙ্গে জোরদার করা হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার গোয়েন্দা নজরদারি।