২৪শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সন্ধ্যা ৭:২৩

নোয়াখালী জেলার,সোনাইমুড়িতে ৮ মাসের অন্তস্বর্তা মিতুকে হত্যা

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২, ২০১৭,
  • 510 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

থানার, বারগাঁ ইউনিয়নের,কুরী বাড়ির, শ্রী মনি লাল কুরীর বড় মেয়ে মিতু রানী কুরী।(বয়স ১৯)গত ২৮ফাল্গুন ১৪২৩ তারিখে বিবাহ হয় লক্ষিপুর জেলার,সদর থানার,পৌর শহরের শাঁখারী পাড়ার, চন্দন চন্দ্র কুরীর সাথে বিবাহ হয়।

বিবাহের পর থেকে যখন যা (যৌতুক)প্রয়োজন হতো সব মেটাতেম মেয়ের বাবা।মেয়ের সুখের জন্য কখনো না বলতো না। হাসি মুখে মেয়ের সুখের কথা ভেবে সব আবদার মিটাতো। কিন্তুু চন্দনের মা এবং তার ছোট বোন কখনো ভালো আচরন করতো না মিতুর সাথে। মিতু তার স্বামীকে এ ব্যাপারে বললে সে ডাইনী মা কে আর কাল সাপের মতো ছোট বোনকে পরে বুঝাবে এই কথা বলে চুপ থাকতো।

এ ভাবে মিতু শারীরিক এবং মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙ্গে পড়ে। এর মধ্যে মিতু ৮ মাসের অন্তস্বর্তা,তাই মানসিক চাপটাই তার জন্য একটু বেশি হয়ে যায়। যে সময় তার থাকা দরকার ছিলো কাজ কর্ম কম করা,তার ভালো মন্দ দেখা,তার প্রতি যত্নবান এবং খেয়াল রাখা। কিন্তু সে মমতাময় বোধ টুকু তার কপালে জুটলো না। তার ভাগ্যে জুটলো এক ডাইনি,কাল সাপের মতো শাশুড়ি আর ননদের কুটুক্তি ব্যাবহার এবং স্বামীর চুপচাপ নিরবতাই দায়ী। স্বামীর নিরবতাই শাশুড়ি আর ননদ এতোটাই সুযোগ পেয়ে বসে,যার ফল ভোগ করতে হয় মিতুকে মৃত্যু দিয়ে।।

তারপর মিতুর মৃত্যুকে চাপা দেওয়ার জন্য তারা নাটক সাজায় এই যে, মৃত্যুর কিছুখন আগে ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয় বলে শাশুড়ী বকাবুকী করে এবং খারাপ আচরন করা হয় মিতুর সাথে। এর মধ্যে চন্দন বাহিরে যায়। অল্প কিছু্খন পরে এসে দেখে দুয়ার বন্ধ।পরে মিতু বলে ডাকাঢাকী করে। দুয়ার না খোলায়,পাশের জানালায় গিয়ে দেখে মিতু গলায় কিছু পেছিয়ে জুলিয়ে আছে।

পরে দুয়ার ভেঙ্গে তাকে নামায়।এতো কিছু হলো অথচ পাড়া প্রতিবেশি কেউ দেখলোনা সে গলায় দড়ি দিয়ে মারা গিয়াছে। শাশুড়ি এবং ননদের কোনো কিছুর আঘাতের মাধ্যমে ৮ মাসের অন্তস্বর্তা মিতুর মৃত্যু হয়।এই মৃত্যুতে শুধু মিতু মরেনি,সাথে তার গর্ভের শিশুটিকেও মেরে ফেলা হয়। অর্থাৎ এক সাথে দুই জন। কি নির্মম এবং বেদনাময় হতে পারে এক বার ভাবুন। ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানাই এই মানুষ রুপী ডাইনীদের।

বিবাহের ১বছর না পেরোতে ১২কার্তীক ১৪২৪বাং সকাল বেলা তার মৃত্যুর সংবাদ আসে অন্যের মাধ্যমে মিতুর বাপের বাড়িতে। পরে পুলিশ বাড়ি এসে লাস নিয়ে যায় এবং মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মেয়ের বাবা,মা এবং আত্মীয় স্বজন লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে মিতুর মৃত দেহ দেখতে চাইলে মর্গের ডিইটিতে থাকা লোকজন দেখতে দিচ্ছিলোনা।অনেক জোরাজুরী করে মিতুর মৃত লাশ দেখতে হয়।মিতুর গলায় কোনো ফাঁসের দাগ নেই। এক পর্যায়ে থানায় গেলে সেখানেও হ্যাস্ত ন্যাস্ত হতে হয়।

নিষ্পাপ একটি মেয়ে ও গর্ভের শিশুর প্রান চলে গেলো।আর আমরা কেউ এর বিচার করতে পারলাম না।বাবা,মা একটি সন্তানকে বিবাহের আগে/পরে পর্যন্ত যে ভাবে ভালোবাসেন,আদর যত্ন করেন তার মুল্য কি এই বিবাহের ৮মাসের মধ্যে,স্বামীর নিরবতা, মা এবং মেয়ের হাতে খুন হওয়া।এক বাবা,মায়ের বুক খালি করার জন্য এবং নিরাপরাদ মেয়ে ও গর্ভের শিশুকে মেরে ফেলার জন্য দৃষ্টান্ত মুলক কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি কামনা করছে এলাকাবাসী ও মিতুর পরিবার।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...
© All rights Reserved © 2020
Developed By Engineerbd.net
Engineerbd-Jowfhowo
Translate »