তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের দিনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তাঁরই এক সময়ের ছায়াসঙ্গী মুকুল রায়।
এবার কী তবে মমতার বিরুদ্ধেই লড়াই শুরু হল? মুকুল বললেন, ‘‘অবশ্যই। অবশ্যই।’’
বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বসেই বললেন, ‘‘বাংলায় মানুষ হাঁফিয়ে উঠেছে। বিকল্প খুঁজছে। ২০১৯ ও ২০২১ সালে বিজেপি ভাল ফল তো করবেই। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাতে ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি।’’
মুকুল সাফ বলে দেন, ‘‘বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল নয়। অসাম্প্রদায়িক।’’
এদিন অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেই মুকুল বিজেপির দিল্লি সদর দফতরের সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিকদের মুকুলের যোগদানের খবর ঘোষণা করেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।
কৈলাস তাঁর হাতে বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদের কাগজ তুলে দেন। রবিশঙ্কর ও কৈলাস মিলে মুকুলের গলায় বিজেপির উত্তরীয় পরিয়ে দেন। স্বপন, কৈলাস ও রবিশঙ্কর ফুলের স্তবক মুকুলের হাতে তুলে দেন।
রবিশঙ্কর মুকুলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘১৩ রাজ্যে বিজেপির সরকার রয়েছে। বিজেপি বাড়ছে। সংগঠন বাড়ছে। আরও নতুন নতুন রাজ্যে বিজেপি সংগঠন বাড়াতে চায়। যখন মুকুল রায় নিঃশর্তে বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। আমরা উৎসাহের সঙ্গে মুকুল রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি।’’
মুকুলের প্রশংসা করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘‘তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূলকে বাড়তে সাহায্য করেছিলেন। ১২ বছর সাংসদ ছিলেন। প্রাক্তন জাহাজমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী। সিপিএম-এর অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনি লড়েছিলেন। সেই লড়াইয়ে তিনি বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন।’’
মুকুলের সাংগঠনিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বাংলায় বিজেপির বিস্তার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রবিশঙ্কর।
সারদা-নারদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে।’’
তবে দলে মুকুলের ভূমিকা কী হবে তা এখনও ঠিক হয় নি। সাংবাদিক বৈঠকের পরে ফের অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুকুল রায়। সেখানে ছিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত প্রমুখ।