৩০টি নানান জাতের বারমাসী আমের বাগান। গাছের সাইজ ছোট হলেও পিছিয়ে নেই ফলনে। গাছে দেখাযায় বিভিন্ন সাইজের আম। নেই শীত গ্রীষ্ম। প্রায় সারা বছরই আম দেখাযায় গাছ গুলিতে। একদিকে পাকা আম আরেক দিকে মুকুল, গুটি ! জানিনা আমার বাগানে কোন জাতের কয়টি গাছ আছে। চারা সরবরাহকারীরাও সঠিক বলতে পারেনা তবে আমের চেহারা মিলিয়ে ইন্টারনেটে সার্সইঞ্জিন ব্যবহার করে বারি ৪, বারি ১১, কাটিমন, কিউজাই, থাই প্রভৃতি জাতের মিল পাওয়া যায়।
আমার বাড়ীর বারমাসী আমের বাগানটি শখের বাগান তবে এর রয়েছে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। ৩০ টি গাছকে ৩০০ টিতে বর্ধিত করা গেলে একটি পরিবারের জন্য একটি চাকরির চেয়েও অনেক বেশী আয়-উপার্জনকারী প্রকল্প হতে পারে। একটি গাছের বয়স পাঁচ বছর পূর্ণ হলে এবং সঠিক পরিচর্যা হলে বছরে প্রতি গাছ থেকে কমপক্ষে প্রায় ১০ হাজার, বছরে ৩০ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। আয় দুভাবে হতে পারে আম বিক্রী করে এবং কলম বিক্রী করে। এ গাছেরে কলম তৈরি খুবই সহজ। জোড় কলম, ভিনিয়ার গ্রাফটিং, ক্লেফট্ গ্রাফটিং, স্টোন গ্রাফটিং ও দেশীয় পদ্ধতিতে কলম তৈরি করা যায়। যা বিভিন্ন সাইট বা ইউটিউবের মাধ্যমে রপ্ত করা যায়। কলম বিক্রী করে আমের চেয়ে দশগুন বেশী আয় করা সম্ভব।
শুধু টাকা উপার্জনই নয় পাবেন নির্ভেজাল আমের স্বাদ এবং অসীম পুষ্টি। যা আপনার শরীর ও মনকে সুস্থ রাখবে।
অনাবাদী/আবাদী জমি, বড়ীর আঙিনা বা বাড়ীর ছাদে গড়ে তুলতে পারেন আপনার সাধের অামের বাগান।
তাই আর খালি জমি বা আঙিনা বা ছাত নয়, নয় বেকারত্ব । কর্মের মাঝে
নিজেকে ডুবিয়ে রাখুন আর চাকরি বা ব্যবসা বা বেকারত্বের পাশাপাশি আয়
করুন প্রচুর বাড়তি টাকা।
বারমাসী আম ছাড়াও আমার বাড়ীর সাধের বাগানে প্রায় ৩৫০টি রূপালী, হিমসাগর, হাড়িভাঙ্গা ফজলি ও দেশীয় জাতের কালীন আম গাছ রয়েছে। কোনটি ফল ধরেছে কোনটি ফলের অপেক্ষায়। আমিও অপেক্ষায় থাকলাম আপনার বাগানটি দেখার জন্য।
আমার বাড়ীতে ভ্রমন ও পর্ব ২ দেখার আমন্ত্রণ।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ও সুরক্ষিত থাকুন সারাক্ষণ।
অধ্যাপক মোনজ হালদার