মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার টিকারবিলা গ্রামে গড়াই নদীর ভাঙন রোধে মঙ্গলবার স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছেন এলাকাবাসী। উপজেলার এগারটি গ্রামের তিন শতাধিক লোক এ বাঁধ নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছেন। ভাঙনে ‘এগার পল্লী মহাশ্মশান’ ও মন্দিরের একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে গাছপালা ও পার্শ্ববর্তী আবাদি জমি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শ্রীপুর উপজেলার টিকারবিলা, রামচন্দ্রপুর,চররামচন্দ্রপুর, করন্দি, রাজাপুর, কোদলা, চরকোদলা, চন্ডিবর, ছোট উদাস, কোণাগ্রাম ও বেলেঘাটা-এই এগারটি গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শেষকৃত্য সম্পাদনের স্থান এ ‘এগার পল্লী মহাশ্মশানে’র নির্ধারিত জায়গার প্রায় অর্ধেক এবং পার্শ্ববর্তী প্রায় ১০ একর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মন্দিরসহ বাকী অংশেও বিশাল বিশাল ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে।
এজন্য মহাশ্মশান কমিটি, স্থানীয় আমলসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাচ্চু ও এলাকাবাসী পার্শ্ববর্তী উঁচু জায়গা থেকে মাটি কেটে বস্তা ভর্তি করে মঙ্গলবার থেকে গড়াই নদীর ভাঙন রোধে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। শ্মশান এলাকার বিশালাকৃতির বটগাছটি পূর্বের অবস্থান থেকে অন্তত: ৫০ ফিট নিচে ডেবে গেছে। এছাড়াও অন্যান্য গাছপালা ও মন্দিরের কয়েকটি টয়লেটসহ বেশ কিছু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীনের পথে।
এগার পল্লী মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি অজিত মণ্ডল জানান, হঠাৎ করেই ভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে সমাধানের জন্য মাগুরার জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে। সরকারি সহায়তা পেলে মন্দিরসহ মহাশ্মশানের বাকি অংশ আপাতত রক্ষা করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান উল্লাহ শরিফী জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চেষ্টা চলছে।