২৮শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ বিকাল ৪:০২

যুবলীগের অনুষ্ঠানের পর ৫ প্রতিমা ভাংচুর

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৪, ২০১৭,
  • 661 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

নড়াইলের কালিয়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিশিষ্ট সেতার বাদক রবি শংকর ও উদয় শংকরের স্মৃতি বিজড়িত বাস ভবনের সামনে ডাকবাংলা চত্ত্বরের পাশেই সার্বজনীন শীতলা মন্দিরের ৫ দেব-দেবীর প্রতিমা ভাংচুর করেছে দুবৃত্তরা।  শনিবার ১১ নভেম্বর সকাল ১১টার পর থেকে শুরু হওয়া যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভা ও সন্ধ্যায় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে সন্ধ্যার পর মুহুর্তের কোন এক সময় মূর্তিগুলি ভাংচুর করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

রবিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র মুশফিকুর রহমান লিটন, কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শমসের আলী ও স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী মহলের চাপের মুখে তড়িঘড়ি করে রবিবার দুপুরে ৫ দেবদেবীর মুর্তি নবগঙ্গা নদীতে বিসর্জন দেয়া হয়েছে ।

No automatic alt text available.

মন্দিরের সেবায়েত ইতিকা রাণী সূত্রধর জানান, ঘটনাস্থলের পাশে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় সন্ধ্যারদিকে ইতিকা রাণী সূত্রধর প্রতিদিনের মতো প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও প্রার্থণা করতে যেয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে শীতলা দেবী,শিব ঠাকুর,ব্রম্মা,বিষ্ণু ও মা মঙ্গল চন্ডী দে- দেবীর মূর্তিগুলো ভাংচুর করা অবস্থায় এলোমেলো পড়ে থাকতে দেখে প্রার্থণা না করে ফিরে যান এবং মন্দির কমিটির সদস্যদের খবর দেয়। সকালে প্রার্থণাকালীন সময় মূর্তিগুলো অক্ষত ছিল বলে তিনি জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক একাধিক মন্দির কমিটির সদস্যরা জানান, যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান চলাকালে উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের দ্বারা মূর্তি ভাংচুরের ঘটনা ঘটতে পারে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,মন্দিরটি সংস্কার করা হচ্ছে। পাশে টিনের ছাপড়া ঘরে মূর্তিগুলোর মাথা বিচ্ছিন্ন,হাত ভাংচুর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মুর্তি ভাঙ্গার কারণে শনিবার সন্ধ্যা থেকে মন্দিরটিতে পূজা-অর্চনা বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের মুখে শোনা গেল উল্টো কথা তিনি ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে  বলেন, প্রতিমাগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। মন্দির কর্তৃপক্ষ বিসর্জন দিয়েছেন। ভাংচুরের কোন ঘটনা ঘটেনি।

এ প্রসঙ্গে কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শমসের আলী বলেন, অভিযোগও পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...
© All rights Reserved © 2020
Developed By Engineerbd.net
Engineerbd-Jowfhowo
Translate »