কী এই ‘তাহারুশ জামাই’?
এই বিকৃত নারকীয় রীতিতে যৌন নির্যাতন সংগঠিত হয় জনতার সম্মুখে এবং একাধিক পুরুষ মিলে এক নারীর ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। কথ্য ভাষায় ‘তাহারুশ জামাই’কে বলা হয় ধর্ষণ খেলা!
কোথায় হয় ‘তাহারুশ জামাই’?
ইজিপ্ট সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ‘প্রথা’ বেশ রকম প্রচলিত। ১০০০-এরও বেশি মহিলা এই প্রথায় কখনও শারীরিক নির্যাতন, কখনও শারীরিক হেনস্থা এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন। আর এই সামাজিক ব্যাধি এখন ছড়িয়ে পড়ছে গোটা ইউরোপে। জার্মানিতেও এমন ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং তা নিয়ে গোটা দুনিয়া জুড়ে ঝড়ও কম হয়নি। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি! উন্নত বিশ্বে ‘তাহারুশ জামাই’ একটি উৎসবের মেজাজের আকার ধারণ করেছে।
মধ্যপ্রাচ্য তথা আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে আশ্রয়ের জন্য যাচ্ছে মানুষ। এসব মানুষের সঙ্গে যাচ্ছে তাদের পরিবার, অভ্যাস আর সংস্কৃতি। বদলে যাচ্ছে ঘৃণ্য কিছু অভ্যাসও। ‘তাহারুশে’র মতো আরব তরুণদের ঘৃণ্য ও বদ অভ্যাস ইউরোপে ঢুকে পড়ছে। আর এর শিকার হচ্ছেন নারীরা।
নতুন বছরের সন্ধ্যায় এ বিষয়টি ধরা পড়েছিল জার্মান পুলিশের চোখে। পরে জার্মান পুলিশই জানিয়েছে, আশ্রয়ের সন্ধানে আসা আরব তরুণদের সঙ্গে ইউরোপে চলে এসেছে তাহারুশ।
বিকৃত রুচিসম্পন্ন অমানবিক এই তাহারুশ কী?
এটি এক ধরনের ঘৃণ্য কাজ, যাকে ‘ধর্ষণ-খেলা’ বলা যেতে পারে। এতে একজন মেয়েকে মাঝখানে ঘিরে রাখা হয়। চারদিকে থাকে তরুণদের দল। আর মেয়েটিকে ইচ্ছেমতো শারীরিক ও মানসিকভাবে নাজেহাল করা হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশ ধরে টানাটানি করবে, জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলা ইত্যাদি। এদেরই মধ্যে কয়েকজন ভাব করবে যে মেয়েটিকে তাঁরা বাঁচানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আসলে এটাও তাহারুশের একটা অংশ। একসময় ওরাও মেয়েটির কাছ থেকে সুযোগ নেবে।
জার্মানির পুলিশ জানিয়েছে সম্প্রতি বার্লিন, হামবুর্গ, ফ্রাংকফুর্ট, ডুসেলডর্ফ এবং স্টুটগার্টে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে কেবল জার্মানি নয় অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ডেও এমন ঘটনা ঘটেছে।
তাহারুশ প্রথম ঘটে মিসরে। কিন্তু প্রতিটি আরব দেশেই তরুণরা তাহারুশ ঘটায়। ২০১৩ সালের কায়রো তাহরির স্কয়ারে ঘটার পর ভয়াবহ এ নির্মম’খেলাটি’ বিশ্ববাসীর নজরে আসে। প্রান্ত হালদার