প্রাইভেট পড়তে গিয়ে এক হিন্দু স্কুল ছাত্রীর সর্বনাশ করেছে। বৃদ্ধ শিক্ষক তার সঙ্গে কৌশলে অবৈধ স’ম্পর্ক গড়ে তুলে। ওই ছাত্রী তার কাছে যেতে না চাইলে বই খাতা আটকে রেখে তার কাছে যেতে বাধ্য করা হতো। একপর্যায়ে বিষয়টি অপর এক ছাত্র টের পায়। এসময় ওই শিক্ষক নিজের দোষ ঢাকতে ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক স’ম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যবস্থা করে দেয়। এভাবে ওই ছাত্রীর সঙ্গে ছাত্র-শিক্ষকের অবৈধ সম্পর্ক চলতে থাকে। এভাবে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী অবৈধ সন্তান প্রসব করলে এনিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
বর্তমানে ওই ছাত্রী ফুলপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ কিশোরীর প্রাইভেট শিক্ষক ও ছাত্রকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। রোববার ওই ছাত্রী নিজ গৃহে কন্যা সন্তান প্রসব করে। পরদিন শিশু অসুস্থ্য হয়ে গেলে চিকিৎসার জন্য ফুলপুর হাসপতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, পৌরসভার সাহাপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়সী শিক্ষক মোসলেম উদ্দিনের কাছে সে প্রাইভেট পড়ত। সে তৃতীয় শ্রেণী থেকে মোসলেম উদ্দিনের কাছে প্রাইভেট পড়ে আসছিল। দু’বছর আগে থেকে শিক্ষক মোসলেম উদ্দিন তার সঙ্গে কৌশলে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। বিষয়টি তার সঙ্গে পাইভেট পড়তে আসা একই গ্রামের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র পরিমল চন্দ্র জোয়ারদারের পুত্র সুজন জোয়ারদার টের পায়।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে মোসলেম উদ্দিন ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীর সাথে সুজনকে অবৈধ মেলামেশার সুযোগ করে দেয়। এক পর্যায়ে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর থেকে ছাত্র-শিক্ষক উভয়ের সাথেই তার অবৈধ মেলামেশা চলে আসছিল। সন্তান প্রসবের খবর পেয়ে পুলিশ সাহাপুর বাজার থেকে শিক্ষক মোসলেম উদ্দিন ও ছাত্র সুজন জোয়ারদারকে গ্রে’ফতার করে পরদিন কোর্ট হাজতে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে ফুলপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই ছাত্রীর মা বলেন, প্রাইভেট শিক্ষক বিশ্বাস ভঙ্গ করে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। তার দাদি বলেন, সন্তান প্রসবের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি আমরা টের পাইনি। সে মোসলেমের কাছে প্রাইভেট পড়তে যেতে চাইতনা। আর না গেলেই মোসলেম এসে তার বই খাতা নিয়ে আটক রেখে যেতে বাধ্য করত।
ফুলপুর থানার থানার ওসি মাজহারুল হক বলেন ডিএনএ টেষ্টের মাধ্যমে পিতা সনাক্ত করা হবে।
অপরদিকে উচ্ছেদ করা হলো হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিবুল আলম এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। জানা যায় নড়াইলের কালিয়া থানাধীন, বাজারের জামে মসজিদটি ভেঙ্গে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে ১৭ কোটি টাকা ব্যায়ে মডেল মসজিদ তৈরি করা হচ্ছে। মডেল মসজিদ নির্মানের জন্য উচ্ছেদ করা হলো হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
তবে নিশীকান্ত সাহা, অশোক কুমার ঘোষ, সজিত সাহা, আব্দুস সামাদ, গোলজার রহমান, ও আশরাফ মোল্লার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো না ভাঙ্গা বা সরানোর কারণে মডেল মসজিদটির নিমান কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেই কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বসিয়ে ৬ টি দোকানের উচ্চেদ অভিযান শুরু করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলা (ইউ এন ও) অফিসার মোঃ নাজমুল হুদা, আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি কে জানান, মসজিদের নিমান কাজ বন্ধ হওয়ার কারণে অবৈধ ৬ টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। অপর দিকে মসজিদের নিমাণ কাজ পূনরায় চালু করা হয়েছে।