খুলনাকে ১৬১ রানের টার্গেট দিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। টসে হেরে ব্যাট করে চিটাগং সংগ্রহ করে ৫ উইকেটে ১৬০ রান।
আগের দুই ম্যাচেই টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়েছিল খুলনা টাইটানসকে। শুক্রবারের ম্যাচে অবশ্য টসে জিতেই ফিল্ডিং নেয় খুলনা টাইটানস। চিটাগং ভাইকিংসকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। মিসবাহ না থাকায় আজকে চিটাগংয়ের নেতৃত্বে ছিলেন লুক রনকি। ওপেনিংয়ে নেমে তেমন কিছুই করতে পারেননি অধিনায়ক। আবু জায়েদের প্রথম ওভারের শেষ বলে খুব উঁচুতে মেরে খেলেছিলেন। তাতে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে। শুরুতে ধাক্কা খেলেও এরপর চিটাগংয়ের হয়ে প্রতিরোধ দিয়ে দাঁড়িয়ে যান সৌম্য সরকার ও এনামুল হক বিজয়। এই জুটিতেই ১৪ ওভারে শত রান পার করে চিটাগং।
হুমকি হয়ে খুলনাকে ভোগানো এই জুটি ভাঙেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার বলে উঠিয়ে মেরেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ৩২ রানে ব্যাট করতে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে তালুবন্দী করেন ব্র্যাথওয়েট। অপরদিকে হাফসেঞ্চুরি তুলে পরের ওভারেই ফেরেন এনামুল হক বিজয়। আবু জায়েদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৬২ রানে। এরপরেই পাল্টে যায় চিটাগংয়ের ইনিংস। একই ওভারে উঠিয়ে মেরে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নতুন নামা সিকান্দার রাজা। ততক্ষণে চিটাগংয়ের স্কোর ১০৭ রানে ৪ উইকেট! ততক্ষণে অবশ্য রানের চাকা খানিক সময়ের জন্যে স্লথ হলেও শেষ দিকে ঝড় তুলেন প্রোটিয়া তারকা ভ্যান জিল ও আফগান নাজিবুল্লাহ জাদরান। এই জুটিতে ৩২ বলে আসে ৫০ রান। শেষ ওভারে রান আউটে এই জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। ২৪ রানে ফেরেন আফগান ক্রিকেটার জাদরান। আর তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়েই ৫ উইকেটে ১৬০ রানের সংগ্রহ পায় চিটাগং ভাইকিংস।
খুলনার পক্ষে একাই ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আবু জায়েদ। একটি নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।