রংপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগসহ অতীতের সব সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের বিচার দাবি করেছে কয়েকটি সংগঠন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনগুলো তাদের দাবি তুলে ধরে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, জাগো হিন্দু পরিষদ, জাতীয় হিন্দু মহাজোট, বাংলাদেশ হিন্দু সেবক সংঘ নামের বিভিন্ন ব্যানারে সংগঠনগুলো কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
রংপুরে ধর্মাবমাননার অভিযোগ তুলে গ্রেপ্তার টিটু রায়কে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো। টিটু রায়কে নির্দোষ দাবি করে তার মুক্তির দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণকারী অনেকের হাতে।
প্রদীপ হালদার যুগ্ন সম্পাদক বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং ‘সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কমিটির’ আহ্বায়ক প্রদীপ হালদার বলেন, গত ১০ নভেম্বর টিটু রায়ের নামে ‘ভুয়া ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অবমাননার অভিযোগ তুলে’ হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩০টির বেশি বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৪ নভেম্বর বাগেরহাটের চিতলমারির আডুলিয়া গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ঋষিকেশ মণ্ডলের বাড়িতে আগুন দেয়া হয়। আর গত ৫ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রামের চারটি পরিবারের উপর হামলা চালানো হয়।
গত বছর অক্টোবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাছিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা তুলে ধরে মিন্টু বালা বলেন, এসব ঘটনায় জামায়াত-শিবির সংঘবদ্ধভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। নাছিরনগরে জামায়াত-শিবিরের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের দুই নেতার দ্বন্দ্বকেও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর পোড়ানোর জন্য দায়ী করেন তিনি।
তিনি এসব হামলাসহ অতীতের সব হামলার বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি জানান এবং এ ধরনের ‘ষড়যন্ত্রমূলক হামলা’ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস (সভাপতি বাংলাদেশ হিন্দু সংষ্কার সমিতি) সংগীতানন্দ মহারাজ প্রনব মঠ (ভারত সেবাশ্রম সংঘ) নিতাই দেবনাথ সম্পাদক জাগো হিন্দু , গোবিন্দ প্রামাণিক সভাপতি হিন্দু মহাজোট,অধ্যাপক মোনজ বিশ্বাষ, প্রদীপ হালদার যুগ্ন সম্পাদক বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ,
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠ শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বিনয় ভুষণ,প্রিন্স মন্ডল, অমিত রায়,
জয়ধর, নরেন্দ্রনাথ মজুমদার,গৌতম হালদার প্রান্ত,হিরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, হাজার মানুষ এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন।