গোপালগঞ্জ- গোপালগঞ্জে মন্দিরে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে ৪টি মূতির সাজসজ্জা পুড়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া ইউনিয়নের বাজুনিয়া ছোটখোলা সার্বজনীন কালি মন্দিরে এ ঘটনা ঘটেছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় কাজুলিয়া পল্লী মঙ্গল স্কুল এ্যান্ড কলেজের অস্থায়ী সরস্বতী মন্দিরে অনুরূপভাবে আগুন দেয়া হয়। কাজুলিয়া ও বাজুনিয়ার গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছে।
প্রশাসন ও পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা বুধবার, শুক্রবার রাত ও শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। ঘটনা উদঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা কাজ করছেন। সেখানে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ।
মন্দির কমিটির সাভাপতি বিধান চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৮ টা থেকে ৮ টার দিকে দু’ জন দুস্কৃতকারী মন্দিরের গ্রীল দিয়ে মন্দিরের মধ্যে কিছু একটা ছুড়ে মারে বলে বাজুনিয়া গ্রামের ৭ম শ্রেণির ছাত্র সংলাপ মল্লিক আমাদের জানিয়েছে। পরে ভয়ে সে বাড়ি চলে যায়। এরপর সুরেশ আরিন্দা মন্দিরে প্রনাম করতে এসে আগুন দেখতে পান। তার চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
এতে কালী, রক্ষাচন্ডি, শীতলা ও শিব মূর্তির কাপড়, অলংকার ও সাজসজ্জা পুড়ে গেছে। বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। খবর পেয়ে প্রশাসন ও পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে দ্রুত দুস্কৃতকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কেরসিনের বোতল ও দিয়াশলাই উদ্ধার করেছে।
কাজুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাখন লাল দাস বলেন, আমরা এখানে শান্তি ও সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করছি। একটি দুস্কৃতিকারী গোষ্ঠি পরপর দু’ মন্দিরে একই কায়দায় আগুন দিয়ে এলাকাটিকে অস্তিতিশীল করার চেস্টা করছে বলে ধারণা করছি। পুলিশ এ ব্যাপারে সতর্কতা মুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমিও আমার ইউনিয়নের সব মন্দির কমিটিকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছি।
গোপালগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ আসলাম খান বলেন, ওই দু’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে নেমে তদন্ত শুরু করেছে। আমরা গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেছি। এছাড়া কাজুলিয়া স্কুলের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। সেখানে দুস্কৃতকারীরা মুখোশ পড়া ছিলো। তারপরও আমরা দ্রুত এ দু’ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে।