এ নিয়ে টানা চার ম্যাচ মোহামেডানকে হারাল আবাহনী। প্রথম লেগে ১-০ জেতা আবাহনী গত লিগে ২-১ ও ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল। দারুণ এই জয়ে শিরোপা লড়াইয়ে ফিরল আবাহনী। ১৪ ম্যাচে নবম জয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে এক ম্যাচ কম খেলা শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা।
বুধবার প্রথম ম্যাচে টিম বিজেএমসিকে ২-০ গোলে হারানো চট্টগ্রাম আবাহনী ১৩ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। লিগে টানা তিন ম্যাচ হারা মোহামেডান ১৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে ষষ্ঠ স্থানে।
ঘরোয়া ফুটবলের দুই বড় দলের ম্যাচ বলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ফাঁকা গ্যালারিতে কিছু দর্শক ফিরেছিল। কিন্তু প্রথমার্ধে দু’দল তেমন উপভোগ্য ফুটবলের পসরা মেলতে পারেনি।
২০তম মিনিটে মোহামেডানের কিংসলে চিগোজির শট ক্রসবারে উঁচিয়ে বেরিয়ে যায়। ২৭তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু বলে আবাহনীর দুই ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন ও সানডে চিজোবা দৌড়ালেও বলের নাগাল পাননি। ৩৬তম মিনিটে রুবেল মিয়া গোলরক্ষক বরাবর শট নেন।
দ্বিতীয়ার্ধের সমতায় ফিরতে আবাহনীর রক্ষণে চাপ দিতে থাকে আগের দুই লিগ ম্যাচ হেরে আসা মোহামেডান। শুরুতে সুযোগও পেয়ে যায় তারা। কিন্তু ৪৯তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে বিপলু আহমেদের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান গোলরক্ষক শহিদুল আলম।
কিংসলের স্পট কিক বাইরে গেলে ৬০তম মিনিটে সমতায় ফেরার সেরা সুযোগটি হারায় মোহামেডান। ডি বক্সের ভেতর স্যামসন ইলিয়াসুকে নাসিরউদ্দিন চৌধূরী ফাউল করলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন রেফারি। ৭ গোল নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে থাকা কিংসলের আরেকটি প্রচেষ্টাও একটু পর উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
চাপে থাকা আবাহনী ৭১তম মিনিটে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় আবাহনী। জীবনের তুলে দেওয়া বলে সানডের হেডে পরাস্ত গোলরক্ষক। ৮৬তম মিনিটে ডি -বক্সের একটু ওপর থেকে ফয়সাল মাহমুদের ফ্রি কিক শহিদুল ফেরালে ম্যাচে ফেরা হয়নি মোহামেডানের।