দিনাজপুর চিনিরবন্দরের ৭ নং আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের গলাহার শ্রী শ্রী কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করার চেষ্টা করে দুস্কৃতিকারীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) রাতের আঁধারে এই ঘটনা ঘটে বলে জানান গলাহার কালী মন্দিরের সভাপতি ও একই ওর্য়াডে সাবেক মেম্বার জগদীশ চন্দ্র রায়।
তিনি আরো জানান, মন্দিরের নামে ১ একর ৯০ শতাংশ দেবোত্তর সম্পর্ত্তি পূর্বের সেবায়েত নিজের নামে রেকর্ড করায় এই বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে। এমন অবস্থায় সেই সম্পর্ত্তির উপর থাকা আম-কাঁঠাল গাছের ফলগুলো মামলার বিরোধী পক্ষের কাছে ক্রয় করে একই গ্রামের মোঃ কাশেমের পুত্র জাহাঙ্গীর। বুধবার জাহাঙ্গীর আম ও কাঁঠাল গাছের আম-কাঁঠাল পাড়তে গেলে বর্তমান কমিটি থাকা কয়েকজন সদস্য বাঁধা দেওয়ায় জাহাঙ্গীর তার ছোট ভাইকে মোঃ আলমকে ফোন দিলে আলম লাঠিসোটা ও ২০-২৫ জনকে নিয়ে এসে মন্দির কমিটির উপর হামলা চালায়। কমিটি থানায় ফোন করলে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ যাওয়ায় কোনরকম হতাহত হয়নি কেউ।
এই ঘটনায় চিনিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ সন্ধ্যায় দুই পক্ষকে থানা ডাকে এবং মিটমাট না হয়ায় এবং আগামী সোমবার বসার কথা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা কমিটির সভাপতিকে অবগত করেন। কমিটির সদস্যরা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটনায় থানায় অবগত করলে চিনিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কমিটিবৃন্দকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।।
ভাংচুরের বিষয়ে চিনিরবন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি ব্যস্ত থাকায় ঘটনাস্থলে বাকি সদস্যদের পাঠিয়ে দেই এবং ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।।
গলাহার কালী মন্দির কমিটির সম্পাদক সনজিৎ মহন্ত জানান, প্রতিমা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টার বিষয়ে মন্দির কমিটির পক্ষে অজ্ঞাত নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, মামলার নং ১৪।