দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানার অন্তর্গত তারাপুর গ্রামের পরেশ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী শ্রীমতি প্রতিমা রানী (৩০) কে গত ১২ জুন বিকাল ছয়টার সময় তার স্বামীর অবর্তমানে তার গোয়াল ঘরে ঢুকে মোঃ দুলাল মিয়া নামক এক লম্পট জোরপূর্বক ধর্ষন করে। গোয়াল ঘরে ঢুকে পিছন দিক থেকে শ্রীমতি প্রতিমা রানীর স্পর্শকাতর স্থান চেপে ধরে এবং ধর্ষণ করা জন্য মাটিতে সোয়াইয়া ফেলে। প্রতিমা রানীর চিৎকারে এবং সে সর্বশক্তি দিয়ে তার ইজ্জত রক্ষার চেষ্টা করে, পাশের লোকজন এসে তাকে রক্ষা করে এবং আসামি পালিয়ে যায়।
নির্যাতিতা প্রতিমা রানি বলেন ” ঘটনার দিন আমাদের গরু রাখার জন্য আমার গোয়াল ঘরে ঢধুকি, পিছন দিক থেকে আমার অগোচরে অসৎ উদ্দেশ্য মৃত জমশের আলির ছেলে মোঃ দুলাল মিয়া (৪০) আমাকে ধরে আমার স্পর্শকাতর স্থান জোরে চাপ দিয়ে আমাকে বলে যে ” তোমার স্বামী তোমাকে সন্তান জন্ম দিতে পারে নাই আমি এই ব্যাপারে সক্ষম “, এই বলে সে আমাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার গাঁয়ে মুখে ও গালে এবং আমার স্পর্শকাতর বিভিন্ন স্থানে কামড় দিতে থাকে, আমি আহত হই এবং ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। আমার চিৎকারে লোকজন আমার সাহায্যে এগিয়ে আসলে ইতিমধ্যে আসামি পলায়ন করে। সে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেওয়ার কারণে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। আমি থানায় মামলা দায়ের করি।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ এখনো মোঃ দুলাল মিয়াকে গ্রেফতার করতে পারে নাই।আমি তার বিচার চাই। আমরা অতীব গরিব বিধায় এখনো বিচার পাচ্ছি না।
কাহারোল থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা দায়ের করার পর মোঃ দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে ১৬ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(৪) খ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নাম্বার ৫ (পাঁচ )