স্বরূপকাঠী(পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
হঠাৎ করেই ইউপি সদস্যদের উপড় অনাস্থা এনে জন্ম সনদের বিষয়ে এফিডেফিডের নিয়মে টইটম্বুর হচ্ছে ইউপি সচিবগণ, আর জনগণের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। একশত টাকা খরচে যে জন্ম সনদ পাওয়া যেত তা এখন এক হাজার একশত টাকা তাও কন্টাকে। প্রযোজনীয় প্রচার ছাড়াই এমন নিয়ম করায় অর্থিক ও কার্য প্রণালীগত ভোগান্তিতে প্রতিনিয়ত পতিত হতে হচ্ছে গ্রামের সাধারণ জনগণের। সরেজমিনে, স্বরূপকাঠীর উপজেলার দশ ইউনিয়ন ঘুরে দেখা মেলে জন্মসনদ প্রার্থী অভিবাবকদের এমন হাহাকার এবং ইউপি সচিবদের কন্টাকের মাধ্যমে এফিডেফিডের নামে নোটারী পাবলিক করিয়ে দেওয়ার (দালালি) বাণিজ্য। ইউনিয়ন প্রতি রয়েছে এক এক উকিলের মার্কেট। স্বরূপকাঠীর ২নং সোহাগদল ইউনিয়ন পরিষদে টানানো জন্মসনদের চাহিদা পত্র থেকে জানা যায়, জন্মের ৪৫ দিন পার হলেই প্রতিটি জন্মসনদের জন্য ৫০ টাকা জরিমানা, ১০০টাকা নিবন্ধন ফি, ১০০টাকা সনদ ফি এবং মৌখিক ভাবে ইউপি সচিব মোঃ তরিকুল ইসলাম জানায়, তারা ৮০০টাকায় নোটারী পাবলীক করিয়ে মোট ১১০০টাকায় জন্মসনদ দিয়ে আসছেন। মাতা-পিতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং টিকা কার্ড ও ১১০০টাকা হলেই জন্মসনদ দিয়ে থাকেন তিনি তবে, এক সপ্তাহ সময় দিতে হয় প্রার্থীকে। একই অবস্থা স্বরূপকাঠীর অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদেরও। এব্যাপারে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সঠিক ভাবে বয়স নিবন্ধনের জন্যই যদি এফিডেফিডের দরকার হয় তাহলে কন্টাকের মাধ্যমে প্রার্থী ছাড়াই শুধু মাত্র টিকা কার্ডের মাধ্যমেই সত্যতা যাচাই করা হয় কেন? কি দরকার এই জন্ম সনদের? টিকা কার্ডই তো যথেষ্ট। অযথা আমাদেরকে দিনের পর দিন এই জন্মসনদের জন্য নিজ ইউনিয়ন পরিষদে ধন্যা দিতে হচ্ছে এবং সচিবের পকেট ভারী করতে হচ্ছে। বরিশালসহ অন্যান্য স্থানে স্টাম্পসহ ৫০০টাকায় নোটারী করা হয় কিন্তু এখানে ৮০০টাকা দিতে হয় না হলে একটি নোটারী করার জন্য পিরোজপুর যেতে হয়। এ ব্যাপারে স্বরূপকাঠী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সাঈদ এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।