মাগুরার শ্রীপুর উপেজেলার কাদিরপাড়া গ্রামে মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাংচুরের মামলার আসামিরা জামিন নিয়েই একজোট হয়ে মন্দির কমিটির সদস্যদের নামে দায়ের করলেন পাল্টা মামলা। বৃহস্পতিবার আসামি হাসেম মোল্লা বাদী হয়ে আদালতে এই মামলা দায়ের করেন বলে জানা গেছে।
হামেস মোল্লা মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর মামলার অন্যতম আসামি। এঘটনায় সেখানকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মনে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাদিরপাড়া গ্রামের রাধাকান্ত জিও মন্দিরের ১৭ একর ৯৪ শতক দেবোত্তর সম্পতি নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী দখলদারদের সঙ্গে মন্দির কমিটির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার কাদিরপাড়া গ্রামের স্থানীয় বিএনপি নেতা ইসলাম শেখের নেতৃত্বে হাসেম, ইসারত, রাশেদ. ইউনুস, রশিদসহ ২০/২৫ জন দুর্বৃত্ত মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুর করেন।
এতে বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। ঘটনার রাতেই হামলার শিকার অসীম দাস বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা করেন। বুধবার আসামিরা আদালতে হাজির হলে বিচারক তাদের জামিন দেন। এর একদিন পর বৃহস্পতিবার আসামিরা একজোট হয়ে পাল্টা মামলা দায়ের করলেন।
মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর মামলার বাদী কাদিরপাড়া গ্রামের অসীম দাস বলেন, অন্যায়ভাবে হামলা ও মামলা দায়েরের ফলে এখন আমাদের মনে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। মন্দির কমিটির ১৩ জনসহ মোট ১৪ জনের নামে পাল্টা মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মাগুরা জেলার শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদ্যুত কুমার সিংহ বলেন, যারা মন্দিরে হামলা করল, তারাই আবার মামলা করল। এটা দু:খ জনক।
পুলিশ সুপার মুনিবুর রহমান বলেন, কোন প্রকার সমস্যা যাতে না হয় সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।