২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ রাত ৮:৫১
ব্রেকিং নিউজঃ

৩২টি দেশের নৌ প্রতিনিধিদের সম্মেলন রবিবার

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ শনিবার, নভেম্বর ২৫, ২০১৭,
  • 638 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

ভারত মহাসাগরে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলা, উদ্ধার কার্যক্রম, নৌ বাণিজ্য রুট সক্রিয় রাখতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ইনানীতে বসছে বিশ্বের ৩২টি দেশের নৌ প্রতিনিধিদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া চারদিনের এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে ভারত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী ১১ দেশের নৌবাহিনীর জাহাজ নৌ মহড়ায় অংশ নেবে। কক্সবাজারে আয়োজন হতে যাওয়া এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।

এদিকে নৌ প্রতিনিধিদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং রাষ্ট্রপতির আগমনে নিরাপত্তা সহ সার্বিক প্রটোকল পরিচালনা করতে প্রশাসন ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

নৌবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ গত দুই বছর ধরে ভারত মহাসাগরীয় নেভাল সিম্পোজিয়াম অপারেশন কমিটির চেয়ারম্যান। আগামী জানুয়ারিতে শেষ হচ্ছে এই দুই বছরের মেয়াদ। ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী নৌবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, সাগরে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা, প্রযুক্তি হস্তান্তর, তথ্য আদান প্রদান, নৌ বাণিজ্য রুট জলদুস্য মুক্ত রাখাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ সম্মেলন। এই সম্মেলনে ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী ১১টি দেশের নৌবাহিনীর জাহাজ ও প্রতিনিধি ছাড়াও ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। সব মিলিয়ে ৩২টি দেশের নৌ প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে আসা বিদেশি জাহাজগুলো দিয়ে আগত নৌবাহিনীর সদস্যরা যাতে হোটেলে পৌঁছাতে পারে সেজন্য কক্সবাজার রেজু খালের মোহনায় ড্রেজিং করে সেখানে একটি অস্থায়ী পল্টুন বসানো হয়েছে।

এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন পর্যটন শিল্প বিকাশে কক্সবাজারের জন্য বিশাল সুযোগ জানিয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদ বলেন, নৌবাহিনীর এই সম্মেলনে অনেক বিদেশি অতিথিরা আসবে। এতে পর্যটন স্পট হিসেবে কক্সবাজারের ব্র্যান্ডিং হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও তারকা মানের হোটেল সুবিধা রয়েছে তা এই শহরে আসতে পর্যটকদের আকর্ষণ করবে।

তিনি আরও বলেন, এতোগুলো দেশের প্রতিনিধিরা কক্সবাজারে আসবে এতে অবশ্যই ব্র্যান্ডিং হবে কক্সবাজার। আমি তো মনে করি নৌবাহিনীর এ সম্মেলনে প্রকারান্তরে লাভবান হবে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২৬ নভেম্বর দুপুর ১টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। দুপুর আড়াইটায় কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীর হেলিপ্যাডে অবতরণ করে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের অভ্যর্থনা গ্রহন করবেন রাষ্ট্রপতি। এরপর পাঁচ তারকা মানের হোটেল রয়েল টিউলপে সাময়িক বিশ্রাম নিবেন রাষ্ট্রপতি। সেখান থেকে বিকাল ৩টায় সড়ক পথে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি। ওখানে ডি-৫ ব্লক পরিদর্শণ শেষে শরণার্থী শিবির ও সার্বিক বিষয়ে ব্রিফিং করবেন রাষ্ট্রপতি। এরপর রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রান বিতরণ করে বিকাল ৫টায় রয়েল টিউলপে আবারো ফিরে আসবেন রাষ্ট্রপতি। সেদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত ৩২টি দেশের নৌবাহিনীর প্রতিনিধি সম্মেলন “আইওএনস মাল্টিলাটেরাল মেরিটাইম সার্চ এন্ড রিসার্চ এক্সারসাইজ (আইএমএমএসএআরইএক্স)”অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ। এর পরদিন ২৭ নভেম্বর বিকাল পৌনে ৪টায় ইনানী থেকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা ফিরে যাবেন রাষ্ট্রপতি।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এ সম্মেলন উপলক্ষ্যে ভারত মহাসাগর উপকূলবর্তী ১১টি দেশের নৌবাহিনীর জাহাজ নৌ মহড়ায় অংশ গ্রহন করবেন। বঙ্গোপসাগরে আসা বিদেশী জাহাজ গুলো দিয়ে আগত নৌবাহিনীর সদস্যরা যাতে হোটেলে পৌছতে পারেন যে জন্য উখিয়ার রামু সংযোগস্থ রেজুখালের মোহনায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে পুরোদমে বসানো হচ্ছে অস্থায়ী পল্টুন। রাষ্ট্রপতি উখিয়ায় আগমন সফল ও স্বার্থক করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) চাইলাউ মার্মা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে ইনানীতে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত বেওয়াচ পৌছবেন। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে উখিয়ার বালুখালী ২নং অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। পরে রাষ্ট্রপতি উখিয়ার ইনানী হোটেল রয়েল টিউলীপে অনুষ্টিতব্য ৩২টি দেশের নৌবাহিনীর প্রতিনিধি সম্মেলনের আনুষ্টানিক উদ্ভোধন করবেন। নৌবাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত এ সম্মেলনের ফলে কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের সুদুর প্রসারি উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা রয়েছে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষে ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ছাড়াও এখানে সরকারি বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...
© All rights Reserved © 2020
Developed By Engineerbd.net
Engineerbd-Jowfhowo
Translate »