‘বাংলাদেশকে হিন্দুমুক্ত করার জন্য, সরকারসহ সব প্রশাসনিক মহল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার দাস।বলেন বিচারহীনতার নীতি থেকে হিন্দুদের ওপর হামলার মাত্রা দিন দিন বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। সমাবেশে হিন্দু মহাজোটের নেতারা সরকারকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে। তারা সরকারকে হুঁশিয়ার করেছে, এ সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের বিচারের আওতায় না আনলে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশকে অচল করে দেয়া হবে।
সমাবেশে হিন্দুনেতারা বলেন, ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার গুজবের ওপর ভিত্তি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, হবিগঞ্জের মাধবপুর, সুনামগঞ্জের ছাতকসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩০০ হিন্দু পরিবার, ১৫-৩০টি মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর, হিন্দুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়েছে। শ্লীলতাহানি করা হয়েছে হিন্দু নারীদের। এসব ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অত্যাচারকেও হার মানায়।
হিন্দু মহাজোটের সভাপতি দীনবন্ধু রায় বলেন, ‘সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কুচক্রি মহলের লোকেরাই হিন্দুদের ওপর হামলা করছে। অন্যদিকে সরকার ইচ্ছেমতো একজনকে গ্রেপ্তার করে আবার কিছুদিন পর জামিন দিয়ে দিচ্ছে। আসল অপরাধী বিচারের বাইরে চলে যাচ্ছে।’ সরাসরি তদন্ত করে বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি সুশীল কুমার পাইক, অ্যাডভোকে দীপঙ্কর সরকার, অ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ মন্ডল, সহসাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র হাওলাদার, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রতীভা বাগচী প্রমুখ।