প্রসঙ্গত, মুকুল রায় বিশ্ববাংলা ইস্যুতে যে দাবি করেছিলেন, তার পর তাঁর বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার আদালতে মানহানির মামলা করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে৷ কয়েকদিন আগে ওই মামলার শুনানি হয়৷ সেই সময় আদালতের তরফে মুকুল রায়কে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়৷ যদিও তার পরও মুকুল রায় বিশ্ববাংলা ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন৷ আদালত সূত্রে খবর, তারই প্রেক্ষিতেই এদিন বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে শোকজ করা হয়েছে৷ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন এমন মন্তব্য করলেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে৷
এ নিয়ে যদিও মুকুল রায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি৷ তবে তাঁর আইনজীবী সোম মণ্ডল জানিয়েছেন, এর আগে আদালত মুকুল রায়কে অভিষেকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মন্তব্য করতে নিষেধ করেছিল৷ কোনও নথি ছাড়া যেন অভিষেকের বিরুদ্ধে মুকুল রায় কোনও মন্তব্য না করেন, সেই বিষয়েই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল৷ কিন্তু গত শনিবার মুকুল রায় যে সাংবাদিক বৈঠক করেন, সেখানে তিনি সমস্ত নথি নিয়েই হাজির হয়েছিলেন৷ তা সংবাদমাধ্যমকে দেখিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সোম মণ্ডলের দাবি, এই ঘটনা কখনও আদালতকে অবমাননা হতে পারে না৷ তার পরও কেন আদালত এই নির্দেশ দিল, তা কাগজপত্র দেখার পরই জানা যাবে বলে মুকুল শিবিরের দাবি৷
এদিকে মুকুল রায় বিজেপিতে আসার পর রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে৷ তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করছেন৷ আর তার ফলস্বরূপ লড়াইটা চলে গিয়েছে আদালতে৷ একদিকে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অন্যদিকে মুকুল রায়ও দিল্লিতে পাল্টা দু’টি মামলা করেছেন৷ তাঁর ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে বলে তিনি দ্বারস্থ হয়েছেন দিল্লি হাইকোর্টের৷ অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি মানহানির মামলা করেছেন দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে৷ সেই মামলার শুনানি আগামী শুক্রবার হওয়ার কথা৷